ভাটা পড়েছে ‘সোনার হরিণের’ প্রতিযোগিতায় প্রকাশিত: ১০:২১ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১, ২০২৪ ঈদের মৌসুমে ঢাকা থেকে বরিশালসহ দক্ষিণবঙ্গগামী এবং ঈদ পরবর্তী দক্ষিণের বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকাগামী লঞ্চের কেবিন ছিল ‘সোনার হরিণ’। একসময় প্রভাবশালী ছাড়া এই রুটে লঞ্চের কেবিন সংগ্রহ করা ছিল একরকম অসম্ভব। আবার কোনও কোনও লঞ্চ কোম্পানি আগেভাগে স্লিপ জমা নিলেও তাতেও প্রভাবশালীদের প্রাধান্য দেওয়া হতো। এ কারণে সাধারণ যাত্রীদের ভাগ্যে কেবিন জুটতো না। এ অবস্থা চলে আসছিল বছরের পর বছর। তবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এই প্রতিযোগিতায় ভাটা পড়েছে। এবছর ঈদের আর কয়েকদিন বাকি থাকলেও লঞ্চে কেবিনের তেমন কোনও চাহিদা দেখা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত কেউ কোনও লঞ্চে কেবিনে আগাম বুকিং দেননি বলেও জানিয়েছেন লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা। তবে ২২ থেকে ২৩ রোজার পর ঢাকা থেকে বরিশালগামী লঞ্চে কেবিন বুকিং হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানালেন তারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটের অত্যাধুনিক বিলাসবহুল লঞ্চগুলোতেও দেখা দিয়েছে যাত্রী সংকট। যেখানে প্রতিদিন ছয় থেকে সাতটি লঞ্চ বরিশাল নৌবন্দর ত্যাগ করতো, ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সেখানে মাত্র দুটি লঞ্চ প্রতিদিন যাত্রী বহন করছে। এরপরও যাত্রী সংকট লেগেই আছে। এখন যাত্রীর চেয়ে মালামাল পরিবহনে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। নগরীর কাউনিয়ার বাসিন্দা চাকরিজীবী মিজানুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ার আগ পর্যন্ত একচেটিয়া ব্যবসা করেছে একাধিক লঞ্চ কোম্পানিগুলো। ওই সময় বিশেষ করে দুই ঈদে ঢাকা এবং বরিশাল থেকে যাত্রার প্রধান বাহন ছিল লঞ্চ। আর লঞ্চের কেবিন ছিল সোনার হরিণ। এ জন্য চার-পাঁচ রোজার পর থেকেই শুরু হয়তো কেবিন বুকিংয়ের প্রতিযোগিতা। এতে করে সাধারণ যাত্রীদের মারাত্মক দুর্ভোগে পড়তে হতো। পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ার পর সেই অবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে বরিশাল নৌ বন্দর পল্টুনে সাতটি লঞ্চ একসাথে ভিড়তে পারতো না, আরো পল্টুনের প্রয়োজন ছিল। সেখানে বর্তমানে মাত্র দুই থেকে তিনটি লঞ্চ থাকছে। সেখান থেকে প্রতিদিন দুটি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। একইভাবে ঢাকার সদর ঘাট থেকেও প্রতিদিন দুটি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। ওই দুটি লঞ্চের কমপক্ষে ৫ শতাধিক কেবিনের অর্ধেক বুকিং হয়, বাকী কেবিন খালি থাকে। যেখানে সাধারণ দিনগুলোতে কেবিন খালি থাকার কোনও কারণই ছিল না, এখন সেখানে কেবিন খালি নিয়ে লঞ্চগুলো চলাচল করছে। প্রথম তলা থেকে শুরু করে তৃতীয় তলা পর্যন্ত ডেকও থাকছে খালি। SHARES জাতীয় বিষয়: বন্দরযাত্রীলঞ্চ