ঋণগ্রস্ত হওয়ায় স্ত্রী-দুই মেয়েকে হত্যা করেন আশিকুল: পুলিশ

প্রকাশিত: ২:৫৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১, ২০২৪

আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে আশিকুল জানান, ঋণগ্রস্ত হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তা শোধ করতে না পারার হতাশা থেকে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নীলফামারীর ব্যবসায়ী আশিকুল হক মোল্লা হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রোববার নীলফামারী জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. শাহীন কবিরের এজলাসে হাজির হয়ে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে সদর থানার ওসি মো. তানভীরুল ইসলাম জানান।

চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি নীলফামারীর সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের দারোয়ানী পুরাতন বন্দর বাজার গ্রামে স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ব্যবসায়ী আশিকুল হক মোল্লা।

বাড়ির সামনে থেকে গলাকাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে আশিকুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় স্থানীয়রা।

নিহতরা হলেন- আশিকুল মোল্লার স্ত্রী তহুরা বেগম (৩৫) তার দুই মেয়ে আয়েশা আক্তার তানিয়া (৮) ও জারিন (৫)।

আশিকুল চড়াইখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মোল্লার ছেলে। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে নিজেদের এই বাড়িতে বাস করতেন আশিকুল। তিনি স’মিল, কাঠ বিক্রিসহ বিভিন্ন ব্যবসা করতেন।

ঘটনার দিন রাতেই তহুরা বেগমের ছোট ভাই মো. আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে আশিকুলের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার অভিযোগ এনে থানায় একটি মামলা করেন।

পুলিশ জানায়, প্রায় দুই মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার সকালে আশিকুল হক মোল্লাকে ছাড়পত্র দেয় রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এরপর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নীলফামারী সদর থানায় এনে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে প্রাথমিক জ্ঞিাসাবাদ করলে আশিকুল হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন।

ওসি তানভীরুল বলেন, “আদালতে জবানবন্দি আশিকুল জানান, ব্যাংক ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে ঋণ নিয়ে ব্যাবসা করেছিলেন। ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। এ অবস্থায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন আশিকুল।