শতবর্ষী গাছ কেটে র্যাম্প নয় প্রকাশিত: ১২:৩৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২, ২০২৪ টাইগারপাস–সিআরবির শতবর্ষী গাছ ও সড়ক ধবংস করে র্যাম্প নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে কয়েকটি সংগঠন। ‘গাছ বাঁচাও, চট্টগ্রাম বাঁচাও’ স্লোগান নিয়ে গতকাল সোমবার বিকালে টাইগারপাস মোড়ে নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের সমাবেশ থেকে এই ঘোষণা আসে। এতে বলা হয়, টাইগারপাস–সিআরবির শতবর্ষী গাছ কাটা যাবে না এবং চট্টগ্রামের একমাত্র দ্বিতল সড়কটি অক্ষত রাখতে হবে। এই সংগঠনের নেতৃত্বে ২০১১ সাল থেকে টানা ১৫ মাসের আন্দোলনে সিআরবিতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে হাসপাতাল নির্মাণের প্রকল্প বাতিল হয়েছিল। টাইগারপাস থেকে সিআরবিমুখী পাহাড়ি রাস্তাটির মাঝের ঢালে এলিভেটেড এঙপ্রেসওয়ের র্যাম্প নির্মাণ করতে চায় সিডিএ। সেজন্য জমি ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে রেলওয়ের কাছে এবং পাহাড়ের ঢালে থাকা ৪৪টি গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে বন বিভাগের কাছে আবেদন করা হয়েছে। টাইগারপাস মোড়ে শতবর্ষী গাছের নিচে এই সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজুর রহমান বলেন, যদি র্যাম্প করতে হয়, অনেক জায়গা আছে এখানে। গাছ কেটে কেন করতে হবে? প্রকৃতি অক্ষুণ্ন রেখে যে কোনো কিছু করতে পারে, তারা সেটা করুক। তিনি বলেন, মূল লক্ষ্য এসব শতবর্ষী গাছ ও দ্বিতল রাস্তাটি নষ্ট করে সিআরবির পরিবেশ ও প্রতিবেশ ধ্বংস করা। তারপর সিআরবিতে থাবা বসানো। শতবর্ষী গাছ কেটে নতুন চারা লাগানোর কোনো প্রয়োজন নেই। খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরী কমিটির সভাপতি একিউএম সিরাজুল ইসলাম বলেন, এই সড়ক শুধু চট্টগ্রামের নয়, দেশের ও বিশ্ব প্রকৃতির সম্পদ। যা সৃষ্টি করতে পারবেন না তা কেন ধ্বংস করছেন? প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে এই সম্পদ রক্ষার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, অবিলম্বে সিডিএ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ঘোষণা দিন। নিউ মার্কেট থেকে এলিভেটেড এঙপ্রেসওয়ে ব্যবহারের অনেক বিকল্প আছে। সভাপতির বক্তব্যে নাট্যজন প্রদীপ দেওয়ানজি বলেন, এত বিকল্প থাকতে কেন গাছ কেটে আর দ্বিতল রাস্তা ধ্বংস করে র্যাম্প করতে হবে সেটা বোধগম্য নয়। পরিবেশবাদী সংগঠন পিপলস ভয়েসের সভাপতি শরীফ চৌহান বলেন, আমরা কেউ উন্নয়ন বিরোধী নই। এই র্যাম্প এখানে কেন? এই এলিভেটেড এঙপ্রেসওয়ে করার সময়ও শুরুর স্থান নিয়ে সমস্যা হয়। এটা দেওযানহাট থেকে শুরু করা যেত। তা না করে পাহাড় কেটে লালখান বাজার থেকেই শুরু করা হয়। নতুন করে গাছ রোপণ করবেন বলছেন সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী। আপনি কি এ রকম একটি দ্বিতল সড়ক করতে পারবেন? এই শতবর্ষী গাছ ফিরিয়ে দিতে পারবেন? সাংবাদিক প্রীতম দাশের সঞ্চালনায় সমাবেশে সাংবাদিকদের সংগঠন বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সাংবাদিক ঋত্বিক নয়ন, আমিনুল ইসলাম মুন্না ও সারোয়ার আমিন বাবু, নগর পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলাম, খাল নদী রক্ষা কমিটির আলীউর রহমান, লেখিকা মোহছেনা ঝর্ণা, অধ্যাপক সুপ্রতীম বড়ুয়া, পিপলস ভয়েস–এর সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, যুব নেতা শিবু চৌধুরী, সাংবাদিক মিনহাজুল ইসলাম, কায়সার চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সংগঠক মোরশেদুল আলম চৌধুরী, বনবিহারী চক্রবর্তী, সংগঠক সাজ্জাদ হোসেন জাফর, রুবেল দাশ প্রিন্স, গণণমাধ্যম কর্মী কামরুজ্জামান রনি, রাজনীতিবিদ রাহুল দত্ত, সংগঠক সৌমেন দাশ, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মো সাইমুম। প্রতিবাদী ছড়া পাঠ করেন উৎপল বড়ুয়া। SHARES জাতীয় বিষয়: ধ্বংসরাস্তার্যাম্প