যৌথভাবে কাজ করবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং বিআইপি প্রকাশিত: ৫:২৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৪, ২০২৪ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) যৌথভাবে কাজ করবে: সারা দেশের সুপরিকল্পিত নগরায়ন এবং সুষম উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) যৌথভাবে কাজ করবে। এছাড়াও সারাদেশের পরিকল্পিত নগরায়নে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের সক্রিয়তা বৃদ্ধি, সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে গবেষণা, মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থাসমূহের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করবে। গতকাল ৩ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, এমপি মহোদয়ের কার্যালয়ে এক দ্বি-পাক্ষিক আলোচনা সভায় এমন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আলোচনা সভার শুরুতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)-র সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স এর পক্ষ থেকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ সকল অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও দপ্তর/সংস্থার কোন কোন অধিক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়কে সহযোগিতা করতে পারবে এই মর্মে একটি ধারণাপত্র মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের নিকট উপস্থাপন করেন। এসময় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাথে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) এর যৌথভাবে কাজ করবার বিষয়ে নিম্নলিখিত সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রসমূহ উল্লেখ করা হয়ঃ ১. নগর, অঞ্চল ও গ্রামীণ পরিকল্পনা / স্থানিক পরিকল্পনা সংক্রান্ত নীতি-কৌশল, আইন, বিধি-বিধান প্রণয়নে এ সংক্রান্ত কারিগরী কমিটি’র সদস্য হয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান; ২. মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত সকল উন্নয়ন সংস্থা ও এ জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন/অনুমোদন/বাস্তবায়ন বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের বিধি-বিধান, পরিচালনা, জনবল কাঠামো প্রভৃতি সংশ্লিষ্ট বিষয় পরিমার্জন/হালনাগাদ/উন্নয়নের জন্য গঠিত কমিটির সদস্য হয়ে প্রয়োজনীয় বিশেষায়িত মতামত প্রদান ও যথাযথ ভূমিকা রাখা; ৩. দেশব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন এবং দূর্যোগের অভিঘাত সহনশীল নিরাপদ ও টেকসই নগর ও বসতি গড়ে তুলতে জনসাধারণের সম্পৃক্ততা, অংশীদারিত্ব ও করণীয় সম্পর্কে ধারণ উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও প্রচার প্রচারণায় মন্ত্রণালয়ের সাথে যৌথভাবে কাজ করা। ৪. মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে বিশেষায়িত পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মতামত প্রদানসহ সহযোগী ভূমিকা পালন করা / সহযোগিতা করা; ৫. পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, ভূমি উন্নয়ন, আবাসন, ভবন নির্মাণ, পরিবেশ সংরক্ষণসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গৃহীতব্য নীতি/কৌশল/পরিকল্পনা/বৃহৎ প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কারিগরি মতামত প্রদানসহ সহযোগিতা করা; ৬. মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সকল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ইমারত নকশা অনুমোদন কমিটি’তে বিআইপি সদস্য পরিকল্পনাবিদদের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবার মাধ্যমে পরিকল্পিত নগর গড়তে যথাযথ অবদান ও বলিষ্ঠ ভূমিকা নিশ্চিত করা। ৭. নগর এলাকায় অগ্নি দূর্ঘটনা কমানোর জন্য বিদ্যমান আইন ও নীতির মধ্যে অসংগতি দূর করবার মাধ্যমে অগ্নি নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য গবেষণা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় প্রস্তাবনা দেয়া এবং শহরের পার্ক, উদ্যান, খেলার মাঠ, সবুজ এলাকা ও জলাশয় তৈরি, রক্ষা ও ব্যবস্থাপনাসহ সকলের জন্য কমিউনিটি ও নাগরিক সুবিধাদি নিশ্চিত করতে প্ল্যানিং স্ট্যান্ডার্ড বা পরিকল্পনার মানদন্ড প্রণয়ন করা। ৮. নগর ও স্থানিক পরিকল্পনায় বৃহৎ ও বিশেষায়িত প্রকল্পের প্রভাব যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করবার জন্য ‘পরিকল্পনাগত প্রভাব বিশ্লেষণ প্রতিবেদন’ তৈরি করবার গাইডলাইন প্রস্তুত করা এবং পরিকল্পনা প্রণয়ন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রকল্পের গুণগত মান ও অর্থায়ন এর জন্য সুনির্দিষ্ট মানদণ্ড প্রদান করবার মাধ্যমে বিদ্যমান অসংগতি দূর করা। ৯. মহানগরগুলোতে পরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে রাজউক, সিডিএ, কেডিএ, আরডিএ, কক্সডিএ এবং জিডিএ তে এর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে তাদের পেশাগত ও কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় ট্রেনিং, সিম্পোজিয়াম ও অনুষ্ঠান আয়োজন করা। ১০. মহানগরগুলোর অননুমোদিত এবং আইনের ব্যত্যয় করে যে সব স্থাপনা তৈরি হয়েছে, সেগুলোকে আইনের ভেতর এনে পুনর্গঠন করার লক্ষ্যে টাস্কফোর্স গঠন ও থার্ড পার্টি ফার্মের সহায়তা স্থাপনাগুলোর এসেসমেন্ট সম্পন্ন করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণে কারিগরী সহযোগিতা প্রদান করা; ১১. সকলের জন্য মানসম্মত আবাসন নিশ্চিত করতে জাতীয় আবাসন নীতিমালার আলোকে অগ্রাধিকার সুনির্দিষ্ট করবার জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা এবং পরিকল্পনাবিদদের পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে জাতীয় আবাসন কর্তৃপক্ষকে আরও গতিশীল করবার পরামর্শ দেয়া; ১২. টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)-১১ এবং নিউ আরবান এজেন্ডা বাস্তবায়নে ‘মধ্যমেয়াদী মূল্যায়ন প্রতিবেদন’ প্রস্তুত করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে কারিগরী সহযোগিতা প্রদান করা; ১৩. পরিকল্পিত নগর ও গ্রাম গড়তে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের উদ্দেশ্যে মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন অংশীজনদেরকে সাথে নিয়ে নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক কনফারেন্স, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, গোলটেবিল বৈঠকসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান আয়োজন করাসহ বিশ্ব বসতি দিবস, বিশ্ব শহর দিবস, বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবসসহ অন্যান্য দিবস পালনে মন্ত্রণালয়কে সহযোগিতা করা। ১৪. ওয়ার্ল্ড আরবান ফোরাম সহ আন্তর্জাতিক ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন কনফারেন্স, সেমিনার, সিম্পোজিয়ামে কারিগরি প্রতিবেদন এর প্রস্তুতিতে সহায়তা ও অন্যান্য ভূমিকায় পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মন্ত্রণালয় এর সহযোগী ভূমিকা এবং ‘আরবান নলেজ পার্টনার’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা। এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন সংস্থার ভাল ও তাৎপর্যপূর্ণ উদ্যোগসমূহকে যথাযথভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করা। ১৫. সারা দেশের নগর, অঞ্চল ও গ্রামীণ এলাকার সমন্বিত, পরিকল্পিত ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সমগ্র দেশের পরিকল্পনা কাঠামো প্রণয়ন একান্ত জরুরি। এ লক্ষ্যে পৌঁছাতে বিআইপি বাংলাদেশের পরিকল্পিত উন্নয়নে সরকারের অভীষ্টকে সামনে রেখে বিশদ গবেষণার মাধ্যমে ‘স্থানিক পরিকল্পনা কাঠামো’ তথা ‘স্প্যাটিয়াল প্ল্যানিং ফ্রেমওয়ার্ক’ তৈরি করেছে। ইতোমধ্যে এই ‘স্থানিক পরিকল্পনা কাঠামো’ বিআইপি’র উদ্যোগে সরকারের নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে প্রদান করা হয়েছে। সারা দেশের নগর, অঞ্চল ও গ্রামীণ এলাকার সমন্বিত, পরিকল্পিত ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে ‘স্থানিক পরিকল্পনা কাঠামো’র মাধ্যমে সারা দেশের ‘জাতীয় স্থানিক (ভৌত) পরিকল্পনা’ তথা ‘ন্যাশনাল স্প্যাটিয়াল প্ল্যান’ প্রণয়নে মন্ত্রণালকে সব ধরনের কারিগরী সহায়তা প্রদান করা। এছাড়াও দেশের পরিকল্পিত উন্নয়নে ‘স্থানিক পরিকল্পনা কাঠামো’র যথাযথ বাস্তবায়নে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতা বিআইপি একান্তভাবে প্রত্যাশা করছে। দ্বি-পাক্ষিক আলোচনার এ পর্যায়ে বিআইপি-র সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় কে বলেন, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর যেহেতু উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতা বহির্ভূত সারাদেশের স্হানিক পরিকল্পনা প্রনয়ণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত, সুতরাং মহাপরিকল্পনা ব্যতীত অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা যাবে না এবং মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্পর্কিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন বাস্তবায়নে তথা ২০৪১ সালের পরিকল্পিত, উন্নত এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের জন্য নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রাতিষ্ঠানিক আধুনিকায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একইসাথে, অত্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ গণপূর্ত অধিদপ্তরের ‘প্রধান প্রকৌশলী’ এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের ‘প্রধান স্থপতি’র ন্যয় নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক পদটি পরিবর্তন করে ‘প্রধান পরিকল্পনাবিদ (গ্রেড-১)’ উন্নীত করে অধিদপ্তরটির পুর্ণগঠন এবং জেলা পর্যায়ে নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের কার্যালয় সম্প্রসারণ অতীব জরুরী। এ লক্ষ্যে বিআইপি-র পক্ষ থেকে নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের নিয়োগ, পদোন্নতি, উচ্চতর গ্রেড প্রদান ইত্যাদি বিষয় পরিচালনার জন্য (কর্মকর্তা/কর্মচারী) খসড়া নিয়োগ বিধিমালা এবং অর্গানোগ্রাম প্রণয়নের নিমিত্তে গঠিত কারিগরী কমিটিতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) এর প্রতিনিধি অন্তর্ভূক্তকরণের জন্য মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের নিকট অনুরোধ জানানো হয় এবং বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় উক্ত কমিটিকে বিআইপি-র প্রতিনিধি অন্তর্ভূক্তকরণের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়াও উক্ত আলোচনা সভায় গেজেটকৃত ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড বাস্তবায়নে অত্যাবশকীয় ‘বিল্ডিং রেগুলেটরি অথোরিটি’ গঠন এবং নগরায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নগর পরিকল্পনাবিদ সহ সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা জনপ্রতিনিধিদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিসহ টেকসই বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান সরকার কে সকল ধরনের নীতিগত ও কারিগরী সহযোগিতা প্রদানে নিমিত্তে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স কর্তৃক রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে প্লট বরাদ্দের জন্য আবেদনের প্রেক্ষিতে বিআইপি-র অনুকূলে প্লট বরাদ্দের বিষয়ে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে আলোচনা করা হয়। এ সময় এসকল বিষয়সমূহ দ্রুততর সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হবে মর্মে মাননীয় মন্ত্রী আশ্বাস ব্যক্ত করেন। দি-পাক্ষিক আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ইনস্টিটি অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)-র প্রতিনিধি দলে ইনস্টিটিউট এর সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান এর নেতৃত্বে উপস্থিতি ছিলেন ইনস্টিটিউট এর সহ-সভাপতি পরিকল্পনাবিদ সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন, সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান, যুগ্ম সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ তামজিদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. মু. মোসলেহ্ উদ্দীন হাসান এবং বোর্ড সদস্য পরিকল্পনাবিদ মোঃ আবু নাইম সোহাগ। এছাড়াও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)-র প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ জনাব মোঃ আশরাফুল ইসলামসহ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এ লক্ষ্যে বিআইপি-র পক্ষ থেকে নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের নিয়োগ, পদোন্নতি, উচ্চতর গ্রেড প্রদান ইত্যাদি বিষয় পরিচালনার জন্য (কর্মকর্তা/কর্মচারী) খসড়া নিয়োগ বিধিমালা এবং অর্গানোগ্রাম প্রণয়নের নিমিত্তে গঠিত কারিগরী কমিটিতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) এর প্রতিনিধি অন্তর্ভূক্তকরণের জন্য মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের নিকট অনুরোধ জানানো হয় এবং বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় উক্ত কমিটিকে বিআইপি-র প্রতিনিধি অন্তর্ভূক্তকরণের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়াও উক্ত আলোচনা সভায় গেজেটকৃত ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড বাস্তবায়নে অত্যাবশকীয় ‘বিল্ডিং রেগুলেটরি অথোরিটি’ গঠন এবং নগরায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নগর পরিকল্পনাবিদ সহ সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা জনপ্রতিনিধিদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিসহ টেকসই বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান সরকার কে সকল ধরনের নীতিগত ও কারিগরী সহযোগিতা প্রদানে নিমিত্তে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স কর্তৃক রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে প্লট বরাদ্দের জন্য আবেদনের প্রেক্ষিতে বিআইপি-র অনুকূলে প্লট বরাদ্দের বিষয়ে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে আলোচনা করা হয়। এ সময় এসকল বিষয়সমূহ দ্রুততর সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হবে মর্মে মাননীয় মন্ত্রী আশ্বাস ব্যক্ত করেন। দি-পাক্ষিক আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ইনস্টিটি অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)-র প্রতিনিধি দলে ইনস্টিটিউট এর সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান এর নেতৃত্বে উপস্থিতি ছিলেন ইনস্টিটিউট এর সহ-সভাপতি পরিকল্পনাবিদ সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন, সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান, যুগ্ম সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ তামজিদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. মু. মোসলেহ্ উদ্দীন হাসান এবং বোর্ড সদস্য পরিকল্পনাবিদ মোঃ আবু নাইম সোহাগ। এছাড়াও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)-র প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ জনাব মোঃ আশরাফুল ইসলামসহ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। SHARES জাতীয় বিষয়: বিআইপিযৌথ