সীমান্তজুড়ে সেনা মোতায়েনের দাবি রিজভীর প্রকাশিত: ৪:৩০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৬, ২০২৪ অবিলম্বে দেশের সীমান্তজুড়ে বিপুলসংখ্যক সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। রিজভী বলেন, ‘দেশ আজ গভীর সংকটের মধ্যে। এমন সময়ে শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা বিজিবির ওপর নির্ভর না থেকে অবিলম্বে দেশের সীমান্তজুড়ে সেনা মোতায়েন জরুরি।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের সীমান্ত নিরাপদ নয়। নিরাপদ নয় দেশের সার্বভৌমত্ব। দেশের সার্বভৌমত্ব যখন সংকটে তখন বিএনপি চুপ করে বসে থাকতে পারে না।’ রিজভী বলেন, ‘দেশ যেন আজ উন্মুক্ত কারাগার। বিপন্নতার মুখে দেশের স্বাধীনতা। দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা দূরে থাক বর্তমানে দেশের সার্বভৌমত্বই হুমকির সম্মুখীন। স্বাধীনতা বিপন্ন প্রায়।’ বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যাতে রাজধানীতে জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনী রাজধানীতে তৎপর অথচ সীমান্ত এলাকা অরক্ষিত। অরক্ষিত সীমান্ত স্থাপনা, থানা, পুলিশ, ব্যাংক, বীমা, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।’ তিনি বলেন, ‘ডামি সরকারের পররাষ্ট্রনীতির কারণে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ এখন প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর যুদ্ধ করিডোর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কেন দেশের সীমান্ত এতো অরক্ষিত, অবহেলিত এ ব্যাপারে ডামি সরকার জনগণকে কিছুই জানতে দিচ্ছে না। মিয়ানমারে বর্তমানে গৃহযুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেখা যায় প্রায়ই মিয়ানমারের শত শত জান্তা সেনা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ছে। আবার কয়েকদিন পরই দেখা যায়, বাংলাদেশ সরকার তাদের যথারীতি মিয়ানমার ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে। ৫/৬ বছরেও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর একজন প্রতিনিধিকেও ফেরত পাঠানো যাচ্ছে না অথচ শত শত জান্তা সেনা বাংলাদেশে ঢোকার পর পুনরায় তাদের মিয়ানমার পাঠানোর ক্ষেত্রে ডামি সরকার কি পলিসি গ্রহণ করছে সে সম্পর্কেও জনগণ অন্ধকারে।’ রিজভী আরও বলেন, ‘ডামি সরকার যখন দেশের সীমান্ত রক্ষায় চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে এমন এক টালমাটাল পরিস্থিতিতে বান্দরবানে শুরু হয়েছে ব্যাংক লুট, পুলিশের অস্ত্র লুট, অপহরণ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা। ডামি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাতে গণমাধ্যমে প্রচারিত তথ্যে বলা হয়েছে, কথিত কুকি-চিন নামে সশস্ত্র গোষ্ঠী ব্যাংক লুট, অস্ত্র লুট, পুলিশ ক্যাম্প-থানায় হামলা-অপহরণ এবং অস্ত্র ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত।’ SHARES রাজনীতি বিষয়: দাবিরিজভীসেনা