দিনে ১২ প্রবাসীর লাশ আসে দেশে

প্রকাশিত: ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৬, ২০২৪

পরিবারে সচ্ছলতা আনতে সাত বছর আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন মেহেরপুরের গাংনীর তোফাজ্জল হোসেন (৫৫)। গত ১১ মার্চ মস্তিষ্কে রক্তরক্ষণে তার মৃত্যু হয় বলে ডেথ সার্টিফিকেটে উল্লেখ করা হয়। কী কারণে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে মৃত্যু হলো এই তথ্য কারও কাছে নেই। তোফাজ্জলের মতো সাড়ে চার হাজার প্রবাসীর লাশ এসেছে ২০২৩ সালে। আর এই বছরের প্রথম মাসেই এসেছে ৪১৫ প্রবাসীর লাশ। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিদিন গড়ে ১২ প্রবাসীর লাশ দেশে আসছে।

ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের তথ্য বলছে, ১৯৯৩ সাল থেকে গত ৩১ বছরে ৫২ হাজার ৩৭১ প্রবাসীর লাশ দেশে এসেছে। এই ৩২ বছরের তথ্যই বোর্ডের কাছে আছে। তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রতিবছরই লাশের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।কল্যাণ বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, এর বাইরে অনেক লাশ বিদেশের মাটিতেই দাফন করা হয়। অনেক পরিবার লাশ দেশে আনতে চান না। যার ফলে পরিবারের অনুমতি সাপেক্ষে বিদেশেই লাশ দাফনের ব্যবস্থা করে সংশ্লিষ্ট দূতাবাস। করোনা মহামারির সময়ে এই সংখ্যা অনেক বেশি ছিল বলে জানান তারা।

প্রসঙ্গত, লাশ দেশে আসলে বিমানবন্দরে অবস্থিত প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের মাধ্যমে দাফন ও লাশ পরিবহনের জন্য ৩৫ হাজার টাকা দেওয়া হয় বোর্ডের পক্ষ থেকে।

২০০৫ সালের পর থেকে দেশে প্রবাসীদের লাশ আসার সংখ্যা বাড়ছে। ২০০৫ সালে লাশ এসেছে ১ হাজার ২৪৮ জনের, ২০০৬ সালে ১ হাজার ৪০২, ২০০৭ সালে ১ হাজার ৬৭৩, ২০০৮ সালে ২ হাজার ৯৮, ২০০৯ সালে ২ হাজার ৩১৫, ২০১০ সালে ২ হাজার ৫৬০, ২০১১ সালে ২ হাজার ৫৮৫, ২০১২ সালে ২ হাজার ৮৭৮, ২০১৩ সালে ৩ হাজার ৭৬, ২০১৪ সালে ৩ হাজার ৩৩৫, ২০১৫ সালে ৩ হাজার ৩০৭, ২০১৬ সালে ৩ হাজার ৪৮১, ২০১৭ সালে ৩ হাজার ৩৮৭, ২০১৮ সালে ৩ হাজার ৭৯৩, ২০১৯ সালে ৩ হাজার ৬৫১ জন, ২০২০ সালে ৩ হাজার ১৪০ , ২০২১ সালে ৩ হাজার ৮১৮ জন, ২০২২ সালে ৩ হাজার ৯০৪, ২০২৩ সালে ৪ হাজার ৫৫২টি লাশ এসেছে দেশে। সবচেয়ে বেশি লাশ আসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে।