বাস সনদহীন, ট্রাকে যাত্রী, সড়কে গর্ত, নিহত ১৪

প্রকাশিত: ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০২৪

মানুষের মৃত্যুর পর আবার বেরিয়ে এল অনিয়মের চিত্র। গতকাল বিভিন্ন জেলায় মৃত্যু আরও ১০ জনের।ফরিদপুরে বাস ও ছোট ট্রাকের সংঘর্ষে সড়কে মৃত্যু হলো ১৪ জনের। তাঁদের মৃত্যুর পর জানা গেল, যে বাসটি দুর্ঘটনায় পড়েছে, সেটির ফিটনেস সনদ ও রুট পারমিট নেই। মারা যাওয়া যাত্রীরা ছিলেন একটি ছোট ট্রাকে, যাতে যাত্রী পরিবহন আইনে একেবারেই নিষিদ্ধ।বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও হাইওয়ে পুলিশের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, দুর্ঘটনার স্থানে মহাসড়কে কিছু খানাখন্দ ছিল। বাসের চাকা গর্তে পড়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। অবশ্য বিআরটিএর কোনো কোনো কর্মকর্তা বলছেন, বাসটির চালক দীর্ঘ যাত্রায় ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়তেও পারেন।

ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফরিদপুর সদরের দিগনগর তেঁতুলতলায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনায় পড়া বাসটি ইউনিক পরিবহনের। সেটি চট্টগ্রাম থেকে চুয়াডাঙ্গা যাচ্ছিল। অন্যদিকে ছোট ট্রাকটি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থেকে আসছিল।

দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কানাইপুরের দিগনগর গ্রামের বাসিন্দা সাহানা বেগম বলেন, ঘটনাস্থলে আসার পর বাসটির একটি চাকা গর্তে পড়ে। এতে সেটি আড়াআড়িভাবে সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় ছোট ট্রাকটি দ্রুতগতিতে এসে বাসের মাঝামাঝি আঘাত করে।

মারা যাওয়া সবাই ট্রাকের যাত্রী। তাঁদের মধ্যে ঘটনাস্থলে ১১ জন এবং ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ও হাসপাতালে ৩ জন মারা যান। নিহতদের মধ্যে এক পরিবারের চারজন রয়েছেন। তাঁরা হলেন ফরিদপুরের বোয়ালমারীর রাকিবুল হাসান মোল্লা ওরফে মিলন (৩৫), তাঁর স্ত্রী শামীমা আক্তার ওরফে সুমি (২৩) এবং তাঁদের দুই ছেলে আলবি রোহান (৬) ও আবু সিনান (৩)।