হেলমেটের মান নির্ধারণ হবে কবে?

প্রকাশিত: ৩:৪০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২৪

মোটরসাইকেল চালানোর সময় মাথা নিরাপদ রাখতে হেলমেট অত্যাবশ্যকীয়। এর কোনও বিকল্প নেই। একটা সময় ছিল, বেশিরভাগ মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী হেলমেট পরতেন না। তবে ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনের ‘কারাদণ্ড’ ও ‘জরিমানা’ এড়াতে গত দুই-তিন বছর ধরে চিত্র পাল্টে গেছে। চালক ও আরোহীরা এখন হেলমেট পরছেন। কিন্তু হেলমেট পরার হার বাড়লেও কমেনি বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও স্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণের হার। এর কারণ হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে নিম্নমানের হেলমেটকে।

রাস্তাঘাটে সচরাচর দেখা যায়, মামলার ভয়ে হেলমেট পরেন চালকরা। তবে তা বেশির ভাগই নিম্নমানের। যাত্রীদেরও দেওয়া হয় মানহীন এসব হেলমেট। এতে মামলা থেকে বাঁচলেও অসতর্কতাবশত দুর্ঘটনায় পড়লে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, ফ্র্যাকচার এমনকি মৃত্যুও ঘটে অহরহ। সংশ্লিষ্টদের মতে, মানহীন হেলমেট যাত্রীদের সুরক্ষার বদলে উল্টো মৃত্যুঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে— রাজধানীসহ সারা দেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৮৮ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে হেলমেট না পরার কারণে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে— হেলমেট থাকা সত্ত্বেও দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। এর একমাত্র কারণ নিম্নমানের হেলমেটের ব্যবহার।মোটরযান চলাচল আইনের ৪৯-চ ধারায় বলা হয়েছে, চালক ছাড়া মোটরসাইকেলে একজনের বেশি আরোহী বহন করা যাবে না। চালক ও আরোহীকে যথাযথভাবে হেলমেট ব্যবহার করতে হবে। যদি কোনও ব্যক্তি এই বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহলে সেটি হবে অপরাধ। এ জন্য তিনি অনধিক তিন মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। চালকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত হিসেবে দোষসূচক এক পয়েন্ট কাটা যাবে।