যে কারণে ১৫ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপান ছাড়তে উৎসাহী হবে প্রকাশিত: ৪:৩১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২৪ আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সব ধরনের তামাকজাত পণ্যের কর ও মূল্য উচ্চ হারে বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন টাঙ্গাইল জেলার বিড়ি-শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে টাঙ্গাইল জেলার বিড়ি শ্রমিকদের আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা। বাংলাদেশে তামাকের ব্যবহার নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণার তথ্য তুলে ধরে তারা জানান, সরকার ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তামাকপণ্যের বিদ্যমান কর ব্যবস্থা সংস্কার করলে প্রায় ১৫ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপান থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত হবে এবং প্রায় ১০ লাখ তরুণ ধূমপান শুরু করতে নিরুৎসাহিত হবে এবং দীর্ঘমেয়াদে প্রায় ১১ লাখ জনগোষ্ঠীর তামাক ব্যবহারজনিত অকালমৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে।মানববন্ধনে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এবং প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের আগে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সব ধরনের তামাকজাত পণ্যের কর ও মূল্য উচ্চ হারে বাড়ানোর দাবি জানান বক্তারা। অন্যান্য স্তরের তুলনায় নিম্ন স্তরে সিগারেটের মূল্যবৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে স্বল্প আয়ের ধূমপায়ীকে ধূমপান ছাড়তে উৎসাহিত করবে এবং উচ্চ স্তরগুলোয় সিগারেটের দাম বাড়লে ধূমপায়ীদের সস্তা ব্র্যান্ড বেছে নেওয়ার আগ্রহ কমবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুপারিশকৃত সুনির্দিষ্ট কর প্রবর্তনের মাধ্যমে কর পদ্ধতির সংস্কার (যা বিশ্বের অধিকাংশ দেশে প্রচলিত রয়েছে) সিগারেট করকাঠামোর কার্যকারিতাকে আরও শক্তিশালী করবে। টাঙ্গাইল বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন, ‘তামাকজাত পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত থাকায় প্রতিনিয়তই আমরা নানা স্বাস্থ্যসমস্যা যেমন: শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, মানসিক অবসাদ ইত্যাদির সম্মুখীন হই। এই প্রক্রিয়ায় আমরা নিতান্তই জীবিকার তাগিদে যুক্ত হয়েছি। আমরা চাই তামাকপণ্যের ওপর উচ্চ কর আরোপ করা ও দাম বাড়ানো হোক। পাশাপাশি আমাদের (বিড়ি শ্রমিকদের) বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার সুযোগ দেওয়া হোক।’ SHARES জাতীয় বিষয়: বিড়িমূল্য