ভাই-বোনসহ ‘শিবির ক্যাডার’ সাইফুলকে খুন, ২ জনের ফাঁসি প্রকাশিত: ৫:০১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২৪ চট্টগ্রামে অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে ‘শিবির ক্যাডার’ সাইফুল ও তার ভাই-বোনসহ তিনজনকে খুনের মামলায় দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত আসামিদের প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। তবে মামলার আসামি দুই শিবির ক্যাডার র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হওয়ায় তাদের আগেই বিচার কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। দণ্ডিত আসামদের সঙ্গে সাইফুলের জায়গা-সম্পত্তির বিরোধ ছিল। সেই বিরোধকে পুঁজি করে প্রতিপক্ষ শিবির ক্যাডাররা সাইফুল এবং তার ভাই ও বোনকে খুন করেছিল। দুই দশক আগে ট্রিপল মার্ডারের এ ঘটনা চট্টগ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল। এর মধ্য দিয়ে আন্ডারওয়ার্ল্ডে শিবির ক্যাডারদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব সৃষ্টির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ কামাল হোসেন শিকদার এ রায় দিয়েছেন বলে বেঞ্চ সহকারী মো. আল আমিন জানিয়েছেন। দণ্ডিতরা হলেন— আবুল কাশেম (৭০) ও মো. ইউসুফ প্রকাশ খাইট্ট্যা ইউসুফ (৭০)। তাদের বাড়ি নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার বালুচরা এলাকায়। রায় ঘোষণার সময় উভয়ে আদালতে হাজির ছিলেন। খুনের শিকার তিনজন হলেন— সাইফুল ইসলাম, তার ভাই মো. আলমগীর ও বোন মনোয়ারা বেগম। তাদের বাড়িও বালুচরা এলাকায়। মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্র পর্যালোচনায় জানা যায়, বায়েজিদ বোস্তামি থানার দক্ষিণ পাহাড়তলী এলাকায় ৩৬ শতক জমি নিয়ে আসামি ইউসুফ ও কাশেমের সঙ্গে সাইফুলের বিরোধ চলছিল। একইসঙ্গে সাইফুলের সঙ্গে বিরোধ চলছিল ওই এলাকার তৎকালীন দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার মো. নছির ওরফে গিট্টু নাছিরের সঙ্গেও। গিট্টু নাছির ও সাইফুল শিবির ক্যাডার হিসেবে সেসময় চট্টগ্রাম শহরের ত্রাস ছিল। দেশজুড়ে তোলপাড় তৈরি করা অধ্যক্ষ গোপালকৃষ্ণ মুহুরী খুনের মামলায় তাদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা হয়েছিল। উভয়ে আরেক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী শিবির নাছির ওরফে বড় নাছিরের অনুসারী ছিল। নব্বইয়ের দশকের শেষভাগে চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্রাবাস থেকে বড় নাছির গ্রেফতার হওয়ার কয়েকবছর পর গিট্টু নাছির ও সাইফুলের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। এসময় দু’জন আলাদাভাবে দুটি সন্ত্রাসী গ্রুপ গড়ে তোলে এবং পরস্পরের বিরুদ্ধে দাঙ্গা-খুনোখুনিতে জড়িয়ে পড়ে। SHARES জাতীয় বিষয়: ক্যাডারশিবিরসাইফুল