পাগলা মসজিদ: ২৭ বস্তা টাকা গুনতে লাগল ১৪ ঘণ্টা, মিলল কত? প্রকাশিত: ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২১, ২০২৪ এই টাকার বাইরে দানবাক্সে মিলেছে বিদেশি মুদ্রা ও সোনার গয়না, যার অর্থমূল্য এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের নয়টি দানবাক্স থেকে পাওয়া ২৭ বস্তা টাকা গুনে মিলেছে রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা, যা মসজিদের ইতিহাসে রেকর্ড। পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত হোসেন বলেন, এই টাকার বাইরে দানবাক্সে মিলেছে বিদেশি মুদ্রা ও সোনার গয়না, যার অর্থমূল্য এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। এর আগে মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর। সেবার ২৩ বস্তা টাকা গুনে ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল; এতদিন সেটাই ছিল রেকর্ড।পরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মোমতাজসহ ছয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে ৭০ জন ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী, পাগলা মসজিদ ও মাদ্রাসার ৩৪ জন শিক্ষক এবং ১০২ জন ছাত্র টাকা গোনা শুরু করেন। টাকা গুনে শেষ করতে সময় লাগে টানা ১৪ ঘণ্টা। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এবং কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতে শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদের নয়টি দানবাক্স খোলা হয়। সুউচ্চ মিনার ও তিন গম্বুজ বিশিষ্ট তিনতলা পাগলা মসজিদ কিশোরগঞ্জের অন্যতম ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থাপনা। জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে হারুয়া এলাকায় প্রায় চার একর জায়গা জুড়ে এ মসজিদ। এ মসজিদের নামকরণ নিয়ে দুই ধরনের জনশ্রুতি আছে। একটি মত হল, প্রায় পাঁচশ বছর আগে বাংলার বারো ভূঁইয়ার অন্যতম ঈশা খাঁর উত্তর পুরুষ দেওয়ান জিলকদর খান ওই জায়গায় নদীর তীরে আধ্যাত্মিক সাধনায় মগ্ন হয়েছিলেন। সাধারণের কাছে তিনি ‘জিল কদর পাগলা’ নামে পরিচিতি পান। পরে ওই জায়গায় এ মসজিদ নির্মিত হয়। জিল কদর পাগলার নামানুসারেই মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি পায়। আরেকটি জনশ্রুতি হল, তৎকালীন কিশোরগঞ্জের হয়বতনগর জমিদার পরিবারের এক নিঃসন্তান বেগম ‘পাগলা বিবি’ নামে পরিচিতি পেয়েছিলেন। দেওয়ানবাড়ির সেই বেগম স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে নরসুন্দার তীরে একটি মসজিদ নির্মাণ করলে তা ‘পাগলা বিবির মসজিদ’ নামে পরিচিতি পায়। SHARES জাতীয় বিষয়: গয়নাদানবাক্সসোনার