ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা

প্রকাশিত: ৩:৪৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

নিজেদের উৎপাদিত ধানেই চাহিদা মেটাচ্ছে বাংলাদেশ। উৎপাদন বাড়াতে নেওয়া হচ্ছে নানান পদক্ষেপ। এর মধ্যে সেচ নিশ্চিত করতে নদী-খাল খনন ও পতিত জমি ধান চাষের আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলমান। পাশাপাশি আর্টিফিশিয়াল রেইনের (কৃত্রিম বৃষ্টি) বিষয়টিও মাথায় নিয়ে কাজ চলছে। কৃষিতে আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ব্রাহ্মগাতি দাশপাড়ার ৫০ বিঘা জমিতে ধান গবেষণা পরিদর্শনকালে তিনি এসব তথ্য জানান।তিনি বলেন, ‘এখানে ৭টি জাত প্রদর্শন হয়েছে। এর ৫টি উফসী ও ২টি হাইব্রিড। সবগুলোই চাষ করতে হবে এমন বিষয় না। আগামীতে যার যেটা ভালো লাগবে, তিনি সেটাই চাষ করতে পারবেন। এজন্য প্রয়োজনীয় বীজ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। পানি ও লবণাক্ততা সমস্যা আছে। কিন্তু নদীর মিষ্টি পানি ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। ডুমুরিয়ায় ১০১ জাত চাষে প্রতি শতকে ১ মণ ধান পাওয়া গেছে। গত ৩-৪ বছরে চাল আমদানি করিনি। নিজেরাই প্রয়োজনীয় ধান উৎপাদন করছি। তাই উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গবেষণা ও পরিকল্পনা নিয়ে কাজ আগাচ্ছে।’

কৃষক দুলাল দাশ বলেন, ‘৫০ বিঘা জমিতে উফসী জাত চাষ করি। হাইব্রিড ধানে আগ্রহী ছিলাম। বিভিন্ন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে দেশীয় জাতে (উফসী) আগ্রহী ছিলাম না। কিন্তু সঠিক নিয়মে ও সঠিক পরিচর্যায় ভালো ফলন হয়েছে। ৮৯ জাত চাষ করি। এ জাত আগামীতে চাষ করতে বীজও সংগ্রহ সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। ধানের উৎপাদন ভালো হয়েছে। গত বছর হাইব্রিড চাষে শতকে সোয়া মণ পেয়েছিলাম। এবার উফসী চাষে শতকে দেড় মণ পাবো মনে হচ্ছে।’

কৃষক মো. মিন্টু শেখ বলেন, ‘৫০ বিঘা প্রকল্পে উফসী জাত চাষে সফলতা আসছে। হাইব্রিড জাত চাষের থেকেও এটি চাষে উৎপাদন ভালো হয়েছে। বাইরের ধান আনবো না, দেশীয় নিজেদের ধান চাষে জোর দেবো।’