কিডনি ইনস্টিটিউটে আবেদনের স্তূপ, নেওয়া হচ্ছে না ডায়ালাইসিসের সিরিয়াল প্রকাশিত: ১২:০২ অপরাহ্ণ, মে ৭, ২০২৪ ডায়ালাইসিস নিতে মাসে আট বার নরসিংদী থেকে ঢাকায় আসেন মানিক মিয়া। তাঁর দুটি কিডনিই নষ্ট। চিকিৎসার জন্য বিক্রি করেছেন অটোরিকশা-বসতভিটা। তবে ১১ মাস আগে আবেদন করেও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজিতে (নিকডু) সুযোগ পাননি ডায়ালাইসিসের। জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটে এভাবেই আবেদন পড়ে আছে শত শত। দিনের পর দিন ঘুরছেন রোগীরা। সক্ষমতা না থাকায় নেওয়া হচ্ছে না নতুন কোনো ডায়ালাইসিসের সিরিয়াল। ফলে চরম বিপাকে নিম্ন আয়ের কিডনি রোগীরা। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, ভর্তুকি দিয়ে কিডনি ইনস্টিটিউটের ডায়ালাইসিস সেবা বাড়ানো হবে না। মানিকের মতো অভিজ্ঞতা অনেক রোগীর। সিরিয়ালের জন্য মাসের পর মাস ঘুরে অনেকে মারাও গেছেন। ভারতীয় প্রতিষ্ঠান স্যান্ডরের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটে বছরে ১৯ হাজার ডায়ালাইসিস করায় সরকার। প্রতি ডায়ালাইসিসে স্যান্ডর পায় তিন হাজার টাকা। এর মধ্যে ৫৬০ টাকা দেয় রোগী, বাকিটা সরকার। তবে পুরোনো রোগীদের সেবা দিতেই শেষ ১৯ হাজার ডায়ালাইসিসের কোটা। তাই বাধ্য হয়ে অনেক রোগী বেসরকারিভাবে ৩ হাজার টাকায় ডায়ালাইসিস নিচ্ছে। জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক বাবরুল আলম বলেন, ‘আমাদের এখানে অপেক্ষমাণ তালিকা অনেক দীর্ঘ। যারা কিউতে আছেন তাদেরকে আমরা ঢাকা মেডিকেল, সোহরাওয়ার্দী, কুর্মিটোলায় যেতে বলছি।’ বছরে ৫০ হাজার ডায়ালাইসিস সেশন দেওয়ার সক্ষমতা আছে স্যান্ডরের। তবে আর ভর্তুকি নয়, সব সরকারি হাসপাতালের সক্ষমতা বাড়াতে চায় স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. মঈনুল আহসান বলেন, ‘নিকডুতে স্যান্ডরের ডায়ালাইসিস সিরিয়াল নেওয়া বন্ধ। স্যান্ডর নিয়ে কিছু জটিলতা হয়েছে। তাই আমরা সতর্কতার সঙ্গে এগোচ্ছি।’ জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটে সরকারি মূল্যে ডায়ালাইসিসের জন্য আগের আবেদন জমা আছে আট শর মতো। SHARES জাতীয় বিষয়: ইউরোলজিতেচিকিৎসার