প্রকাশিত: ৪:০৭ অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২৪

শেষ ওভারের এক ক্যাচেই ম্যাচের ফল বদলে গেছে সেটি বলা হয়তো বাড়াবাড়ি, তবে তার অবদান যে আছে অস্বীকার করার উপায় নেই। কারণ ক্রিজে ছিলেন ‘কিলার মিলার’খ্যাত প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। যেটি ক্যাচ না হয়ে ছয় হলে, সমীকরণটা থাকত দক্ষিণ আফ্রিকার নাগালে। সূর্যকুমার যাদব অসাধারণ দক্ষতায় ক্যাচটি লুফে নিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতের অন্যতম নায়ক বনে গেছেন। যদিও তা নিয়ে চলছে জোর বিতর্ক, ম্যাচ শেষে ক্যাচটি নিয়ে কথা বলেছেন আফ্রিকান অধিনায়ক এইডেন মার্করামও।

জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১৬ রান দরকার ছিল তাদের। হার্দিক পান্ডিয়ার করা ২০তম ওভারের প্রথম বলেই লং অফে উড়িয়ে মারেন ডেভিড মিলার। সীমানা দড়ির কাছে দারুণ দক্ষতায় সূর্যকুমার সেটিকে তালুবন্দী করেন। ওই ক্যাচ নেওয়ার সময় তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সীমানার বাইরে চলে যান, তবে তার আগেই বল শূন্যে তুলে দিয়ে মাঠে ঢুকে ফের লুফে নেন ক্যাচটি। পরে রিপ্লে পরীক্ষা করে সেটিকে আউট বলে সিদ্ধান্ত দেন টিভি আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো। কিন্তু সেই আউট দেওয়ার সময় সীমানা দড়ির দিক থেকে ক্যামেরার অ্যাঙ্গেল দেখানো হয়নি। সেটি দেখানো হলে আর কোনো সংশয় থাকত না বলে মনে করছেন ক্রিকেটভক্তদের অনেকেই।

ওই সময় মিলার আউট না হলে, সেটি ছয় বলে গণ্য হতো। ফলে ম্যাচের ফল ভিন্ন হলেও হতে পারত। তখন সমীকরণ দাঁড়াতো ৫ বলে ১০ রানের। শেষ পর্যন্ত প্রোটিয়ারা ৭ রানে হেরেছে। তবে ম্যাচের ফল নির্ধারণকারী আউটটির সিদ্ধান্ত নিতে কেন আম্পায়ার বাড়তি সময় নিলেন না, তা নিয়েই অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। এ ছাড়া রিপ্লেতে সীমানা দড়িটিও কিছুটা সরে গেছে বলে দেখা যায়, কারণ ঘাসের ওপর বাউন্ডারি লাইনে সাদা দাগ স্পষ্ট। সেই দাগের ওপরই পা ছিল সূর্যকুমারের, যা ক্যাচ ঘিরে ওঠা বিতর্ককে আরও উসকে দিচ্ছে।