সুতিভোলা খাল উদ্ধারে তৎপর ডিএনসিসি, ‘বাধা’ স্থানীয়রা প্রকাশিত: ১২:২৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ২, ২০২৪ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসির) চারটি ওয়ার্ড (৩৮, ৩৯, ৪২ ও ৪৩) ঘেঁষে বয়ে গেছে সুতিভোলা খাল। স্থানীয় বাসিন্দাদের নির্বিচারে ফেলা ময়লা-আবর্জনা ও কচুরিপানার নিচে এই খালে যে পানি আছে সেটাই বোঝা মুশকিল। সাঁতারকুল ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে উত্তর-দক্ষিণে যতদূর চোখ যায় পুরো খালজুড়ে শুধুই ময়লা-আবর্জনা আর কচুরিপানা। সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে কয়েক দফা খাল পরিষ্কার করা হয়েছে। মেয়র আতিকুল ইসলাম নিজেও অংশ নিয়েছেন পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতে। কিন্তু সুফল মেলেনি। এলাকার লোকজনের কারণে আবারও নিজের পরিচয় হারিয়ে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে সুতিভোলা খাল। ডিএনসিসির উদ্যোগকে কোনও তোয়াক্কা না করে দখল-দূষণের উৎসবে ফিরে গেছে স্থানীয়রা। খালপাড়ে কোনও প্রাচীর না থাকায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। পরিচ্ছন্নতা ও সংস্কারের অভাবে এক সময়ের অতি প্রয়োজনীয় খালটির বেহাল অবস্থা এখন এলাকাবাসীর ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ৩০ জুন খালের তীর ঘুরে দেখা যায়, খিলবাড়িরটেক থেকে সাঁতারকুল পর্যন্ত সিএস দাগ অনুযায়ী সুতিভোলা খালের অনেকাংশে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। ফলে খালের জায়গা সংকুচিত হয়ে গেছে। সাঁতারকুল ব্রিজ থেকে খালের সীমানা ঘেঁষে রামপুরা ব্রিজের দিকে যেতে চোখে পড়ে বালু দিয়ে ভরাট করে খালের সীমানা দখলের চেষ্টা চলছে। এছাড়া এলাকার লোকজন এলোপাতাড়ি গৃহস্থালি বর্জ্য ও দোকানপাটের ময়লা-আবর্জনা বস্তায় ভরে সাঁতারকুল ব্রিজের ওপর থেকে খালে ফেলছে। অনেকে আবার খালের মধ্যে বাঁশের ঘেরা দিয়ে মাছ চাষ করছে। সিটি করপোরেশন থেকে দখলদারদের সরে যাওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করা হলেও কেউই সিটি করপোরেশনের অনুরোধ আমলে নেয়নি। সাঁতারকুল পূর্ব পদরদিয়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা তৈয়ব বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, একসময় আমাদের চলাচলের প্রধান পথ ছিল এই খাল। আমরা সাঁতারকুল থেকে রামপুরার ওখান থেকে কাওরানবাজার যেতাম নৌকায় করে। ধীরে ধীরে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়েছে বলে খালে চলাচল কমে গেছে। খালে যাতায়াত কমতে কমতে আজ এই খাল আর খাল নেই। এটা এখন আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে। দখলদারদের কবলে পড়ে এই খালের চেহারা বদলে গেছে। আগের চেয়ে দুই পাড় সংকুচিত হয়ে গেছে। SHARES জাতীয় বিষয়: সুতিভোলাস্থানীয়