২০২৬ সালের এসএসসি পর্যন্ত থাকতে পারে গ্রেডিং প্রকাশিত: ১:০৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২, ২০২৪ আলোচনা-সমালোচনার পর অবশেষে নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন কাঠামোর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটি (এনসিসিসি)। এখন থেকে এ কাঠামো অনুসরণ করে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির প্রতিষ্ঠানভিত্তিক মূল্যায়ন হবে। একই সঙ্গে দশম শ্রেণি শেষে যে পাবলিক পরীক্ষা (এসএসসি ও সমমান) নেওয়া হবে, তাতেও একই পদ্ধতি প্রয়োগ করবে সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডগুলো। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্র জানায়, নতুন শিক্ষাক্রমে ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে প্রথমবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষা বর্তমানে প্রচলিত নিয়মে হবে না। এনসিসিসিতে অনুমোদিত নতুন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করার কথা। অর্থাৎ, তাতে কোনো নম্বর বা জিপিএ গ্রেডিং পদ্ধতি থাকবে না বলেই প্রাথমিক সিদ্ধান্ত। তবে শিক্ষামন্ত্রী নতুন শিক্ষাক্রমের এসএসসিতে প্রথমবার গ্রেডিংই রাখতে চান। এ বিষয়ে তিনি সুপারিশ দিয়েছেন বলেও জানা যায় বৈঠক সূত্রে। এসএসসিতে গ্রেডিংয়ের পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন কাঠামো অনুযায়ী—গ্রেডিং বা নম্বর দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে এ মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে এনসিসিসির বৈঠকে খোদ শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী গ্রেডিং পদ্ধতি বহাল রাখা যায় কি না, তা বিবেচনা করার বিষয়টি সামনে এনেছেন। অন্তত প্রথমবার (২০২৬ সালে) যাতে গ্রেডিং পদ্ধতি রাখা হয়, সেজন্য তিনি বিশেষজ্ঞ কমিটিকে নির্দেশও দিয়েছেন বলে জানা যায়। সোমবার (১ জুলাই) মূল্যায়ন পদ্ধতির খসড়া নিয়ে এনসিসিসি সভায় অংশ নেওয়া কমিটির একাধিক সদস্য জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তারা জানান, ফল প্রকাশের ক্ষেত্রে গ্রেডিংটা রাখা যায় কি না, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা ওঠে। তখন শিক্ষামন্ত্রী সার্বিক দিক বিবেচনা করে অন্তত প্রথমবার গ্রেডিং পদ্ধতি রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী গ্রেডিং রাখার বিষয়টি বলেছেন। এটা কীভাবে হবে, তা হয়তো সামনে আরও স্পষ্টভাবে জানা যাবে।- মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহ আলমগীর জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) স্থায়ী সদস্য। জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘বৈঠকে একটা আলাপ হয়েছে। সেটা হলো- শিক্ষার্থীরা যে ফলাফলটা পাবে, সেটাতে ইনডিকেটর বা চিহ্নভিত্তিক ফল যাই বলি না কেন, সেটা দিলে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেমন প্রতিক্রিয়া হবে, তা নিয়ে কিছুটা সংশয় বা অস্পষ্টতা রয়েছে। কাজেই শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যে, চিহ্নভিত্তিক না করে আমরা আগের মতো গ্রেডিং রাখতে পারি। এটা এসএসসি, দাখিল কিংবা ভোকেশনাল সব ক্ষেত্রে।’ তাহলে ২০২৬ সালে নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি হলেও গ্রেডিং পদ্ধতি বহাল থাকছে কি না, এমন প্রশ্নে অধ্যাপক শাহ আলমগীর বলেন, ‘আমি যতটুকু বুঝেছি, শিক্ষামন্ত্রী গ্রেডিং রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। এটা কীভাবে রাখা যাবে, তা এনসিটিবি নির্ধারণ করবে। তবে এটা যে চূড়ান্ত হয়ে গেছে, তাও বলা যাচ্ছে না। আগস্টে এনসিসিসির আরেকটি বৈঠক হবে, সেখানে শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী হয়তো নতুন শিক্ষাক্রমে কীভাবে গ্রেডিং রেখে এসএসসির ফল প্রকাশ করা যায়, সেটা নিয়ে এনসিটিবি কাঠামো উপস্থাপন করবে। তখন সেটা আলোচনা করে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।’ SHARES শিক্ষা বিষয়: এনসিসিসিদশমশিক্ষাক্রমে