হিমেল বাতাসের সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, শীত বাড়ছে দিনাজপুরে প্রকাশিত: ১:০৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০২৫ দিনাজপুরে উত্তরের হিমেল বাতাস সক্রিয় হয়ে পড়েছে। ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বইছে। সকাল থেকেই ওঠেনি সূর্য, সেই সঙ্গে পড়ছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। এতে করে রাস্তাঘাটে লোকজনের উপস্থিতি কমে গেছে। আগামী ২-৩ দিনে এই অঞ্চলের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমে যাবে। দিনের তাপমাত্রা ৫ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। অবস্থানগত কারণে যেসব এলাকায় শীতের তীব্রতা বেশি এবং হিমালয় থেকে আসা হিমেল বাতাসের প্রভাব বেশি তার মধ্যে অন্যতম উত্তরের জেলা দিনাজপুর। গত কয়েকদিন ধরে এই জেলায় হিমেল বাতাসের প্রভাব না থাকলেও মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকাল থেকেই বইছে হিমেল বাতাস। যদিও তাপমাত্রা তেমন একটা কমেনি। তবে আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘এই বাতাসের গতিবেগ বাড়ায় কমবে তাপমাত্রা।’ দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৮৯ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২ কিলোমিটার। তবে সকাল ৯টায় চূড়ান্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যেখানে তাপমাত্রা একই থাকলেও বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করা হয়। সকাল ৯টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে। এতে করে দিনের তাপমাত্রা ৫ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রাও ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে, মঙ্গলবার এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় এক কিলোমিটার। সোমবার এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদফতরের এই কর্মকর্তা জানান, গত কয়েকদিন ধরেই হিমালয়ের সম্মুখে একটি ঘূর্ণায়মান অর্থাৎ বৃহৎ আকারের জলীয় বাষ্পের বলয় বিরাজ করছে। যেটি একটি প্রাচীরের মতো কাজ করছে এবং উত্তরের হিমেল বাতাসকে আটক দিয়েছে। ফলে গত কয়েকদিন ধরেই এই এলাকার ওপর দিয়ে হিমেল বাতাস বয়নি। এতে করে শীতের তীব্রতা কমেছিল, বেড়েছিল তাপমাত্রা। তবে হিমালয়ের কাছে থাকা জলীয় বাষ্পের বলয়টি দ্রুত গতিতে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে সরে যাওয়ার কারণে উত্তরের জেলাগুলোতে বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে এবং বুধবার দিবাগত রাত থেকেই তাপমাত্রা দ্রুত হ্রাস পেতে পারে। ফলে ৯ বা ১০ তারিখ থেকে কিছু কিছু স্থানে শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করতে পারে, যেটি পরবর্তীতে আরও বিস্তার লাভ করতে পারে। SHARES জাতীয় বিষয়: অঞ্চলেরতাপমাত্রা