উপদেশ গ্রহণের উপকারিতা প্রকাশিত: ৬:৩৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২৫ ইসলামে উপদেশ গ্রহণের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আল্লাহতায়ালা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মাধ্যমে মানুষকে শুনিয়েছেন কোরআনের বাণী। দিয়েছেন উপদেশ। পরিশুদ্ধ জীবন গঠনে উপদেশ গ্রহণের বিকল্প নেই। এখানে উপদেশ গ্রহণের গুরুত্ব ও উপকারিতা তুলে ধরা হলো— বুদ্ধিমানরা উপদেশ গ্রহণ করে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যে ব্যক্তি জানে যে, তোমার প্রতিপালকের কাছ থেকে তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তা সত্য, সে কি ওই ব্যক্তির সমান যে অন্ধ? বুদ্ধিমান লোকেরাই উপদেশ গ্রহণ করে থাকে।’ (সুরা রাদ, আয়াত : ১৯) উপদেশগ্রহণকারীর প্রতি থাকে আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহ। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহর ইচ্ছে ছাড়া কেউ উপদেশ গ্রহণ করবে না। তিনিই ভয়ের যোগ্য, তিনিই ক্ষমা করার অধিকারী।’ (সুরা মুদ্দাসিসর, আয়াত: ৫৬) আল্লাহর নিদর্শন গ্রহণ ও নির্দেশনা মেনে চলা মুমিনদের গুণ। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তুমি তো এর আগে কোনো কিতাব পাঠ করনি, আর তুমি নিজ হাতে কোনো কিতাব লেখনি, এমন হলে মিথ্যাবাদীরা সন্দেহ পোষণ করত। বরং যাদের জ্ঞান দেওয়া হয়েছে, তাদের অন্তরে তা (কোরআন) এক সুস্পষ্ট নিদর্শন। অন্যায়কারীরা ছাড়া আমার নিদর্শনাবলি কেউ অস্বীকার করে না।’ (সুরা আনকাবুত, আয়াত: ৪৮-৪৯) যারা সব সময় আল্লাহকে স্মরণ করে তারা আল্লাহর প্রিয় বান্দা। আল্লাহ তাদের পছন্দ করেন। তাদের রক্ষা করেন জাহান্নামের আজাব থেকে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহর স্মরণ করে এবং আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা করে আর বলে, হে আমাদের প্রতিপালক, আপনি এটা নিরর্থক সৃষ্টি করেননি। আপনি পবিত্র, আপনি আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৯১) উপদেশ মুমিনদের জীবন বদলে দেয়। মুমিনদের আল্লাহমুখী করে। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আপনি তাদের উপদেশ দিতে থাকুন, কেননা উপদেশ মুমিনদের উপকারে আসবে।’ (সুরা জারিয়াত, আয়াত: ৫৫) আবু রুকাইয়া তামিম বিন আউস দারি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘দ্বীন হচ্ছে সদুপদেশ বা কল্যাণ কামনা। আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, কার জন্য? তিনি বললেন, আল্লাহর জন্য, তাঁর কিতাবের জন্য, তাঁর রাসুলের জন্য, মুসলমানের নেতার জন্য এবং সর্বসাধারণ মুসলিমের জন্য।’ (মুসলিম, হাদিস: ২০৫) মুসলিম হিসেবে পৃথিবীর সব মুসলমানের কল্যাণ কামনা করতে হবে। কারও জন্য অকল্যাণ চাওয়া যাবে না। কারও অকল্যাণ হয়; এমন কাজ করা যাবে না। জারির ইবনে আবদুল্লাহ আল-বাজালি (রা.) বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর কাছে বাইয়াত গ্রহণ করেছি—নামাজ কায়েম করার, জাকাত প্রদান করার এবং সব মুসলিমের মঙ্গল কামনা করার।’ (বুখারি, হাদিস: ৫৭) SHARES ধর্ম বিষয়: ইসলামেরাসুলুল্লাহশুনিয়েছেন