অমর একুশে বইমেলা উদ্বোধন করলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ঐতিহ্যবাহী এই বইমেলা উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় বিজয়ীদের হাতে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৪’ তুলে দেওয়া হয়।

এবার সাতজন লেখককে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

এ বছরের বইমেলার প্রতিপাদ্য ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান : নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ’।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাইয়ের চেতনায় নতুন রূপে আয়োজিত হয়েছে এবারের বইমেলা। একুশ আমাদের মূল সত্ত্বার পরিচয়, একুশে মানে জেগে ওঠা, একুশ আমাদের দৃঢ় বন্ধন।

তিনি আরও বলেন, একুশের টান প্রজন্মের পর প্রজন্ম বিস্তৃত হয়েছে। যার উদাহরণ জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান।

বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম।

বইমেলায় অংশগ্রহণকারী ৭০৮ জন প্রকাশকের মধ্যে ৯৯টি স্টল বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে, ৬০৯টি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করা করা হয়েছে।

গত বছর বইমেলায় ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯৩৭টি স্টল বরাদ্দ দে্য়ও হয়েছিল।

মেলায় ৩৭টি প্যাভিলিয়ন রয়েছে- একটি বাংলা একাডেমিতে এবং ৩৬টি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

লিটল ম্যাগাজিন কর্নারটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছে গাছের নিচে থাকবে, তাতে প্রায় ১৩০টি লিটল ম্যাগাজিন স্টল থাকবে।

৮ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি বাদে শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে বিশেষ ‘শিশু প্রহর’। প্রতিবছরের মতো এবারও মেলার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শিশু-কিশোরদের জন্য শিল্পাচার্য, আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন বিনোদনমূলক আয়োজন থাকবে।

বইমেলা প্রতি কর্মদিবসে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং সরকারি ছুটির দিনে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। দুপুরের খাবার ও নামাজের জন্য এক ঘণ্টা বিরতি থাকবে।

২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মেলা সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে।