দাবি অনেক: দক্ষ ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন প্রকাশিত: ১২:৫২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫ অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসে দাবিদাওয়া, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, সিন্ডিকেট দমন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং গণহত্যার বিচার ছিল আলোচনার শীর্ষে। এসব সমস্যা সমাধানে সরকার শুরু থেকেই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে আসছে। তবে উত্থাপিত এসব ইস্যুতে পূর্ণাঙ্গ সফলতা পেতে সরকারের পক্ষ থেকে আরও নিখুঁত পরিকল্পনা সুচারুরূপে নিষ্পন্ন করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন খবরের কাগজকে বলেন, ‘গত ছয় মাসে অর্থনীতির অবস্থা ভালোর দিকে গেছে। আগে তো দেউলিয়ার মতো অবস্থা হয়ে গিয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার তো মাত্র ছয় মাস দায়িত্ব পালন করছে। ১৭ বছরের জঞ্জালমুক্ত করতে অন্তত ১৭ মাস তো লাগবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ট্র্যাকে আসতেও সময় লাগবে। কারণ এখানে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতি ছিল। শিক্ষায়ও নানা অনিয়ম হয়েছে। সব ঠিক করতে আরও সময় এবং পরিকল্পনার দরকার আছে।’ পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সামাজিক অস্থিরতা বেড়ে যায়। দীর্ঘ ১৭ বছরের আওয়ামী শাসনের পতনে দৃশ্যপটে পরিবর্তন আসে। নানান জায়গায় ছিল মবের প্রবণতা। পিটিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটে একাধিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চুরির অভিযোগে পিটুনিতে প্রাণ যায় তোফাজ্জ্বলের। ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এনে মেডিকেল কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। রাজধানীর কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশ কয়েকবার রক্তক্ষয়ী সংঘাত হয়েছে। এটিকে অভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুন পরিস্থিতিতে অস্থিরতা এবং মনোজগতের পরিবর্তন হিসেবে বিশ্লেষণ করেন বিশেষজ্ঞরা। সরকার ধীরে ধীরে এসব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছে। পুলিশের মধ্যেও একধরনের পরিবর্তন আসছে। অন্যদিকে নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পণ্য নিয়ে সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার দাবি ওঠে। সরকার সাধ্যমতো বাজার মনিটরিং করছে। সিন্ডিকেট ভাঙার বিষয়ে জোরালো বক্তব্য দিয়েছেন উপদেষ্টারা। প্রথমদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা কম থাকায় দেশের নানা স্থানে চুরি-ডাকাতি বাড়ে। রাজধানীতে বেড়ে যায় ছিনতাই। পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হলে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটে। মনোবল বাড়ে পুলিশের। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ট্রাফিক ব্যবস্থায়ও শৃঙ্খলা ফিরে আসে। সরকার জুলাই আন্দোলনে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচার করার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে মূল অপরাধীরা পালিয়ে যাওয়ায় তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে শহিদ পরিবারের সদস্যরা রাজপথে কর্মসূচি পালন করেছেন। বিএনপিসহ একাধিক রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনের তারিখ নিয়ে দাবি জানানো হয়েছে। সরকার নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়ও জানিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রশাসনসহ সর্বস্তরে সংস্কারের লক্ষ্যে কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটিগুলো তাদের রিপোর্ট জমা দেয়। আর্থিক খাতে অনিয়ম তদন্তে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়। যারা বিগত সময়ের আর্থিক অনিয়মগুলো তুলে ধরে। দাবিদাওয়া নিয়ে অস্থিরতা অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসে দাবিদাওয়া নিয়ে অস্থিরতা ছিল সবচেয়ে বেশি। যৌক্তিক-অযৌক্তিক দাবির কারণে সরকারকে বেগ পেতে হয়। এসব দাবির আন্দোলন সামাল দিতে মধ্যরাতে উপদেষ্টাসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদেরও হাজির হতে হয় রাস্তায়। সরকার পরিবর্তনে বিভিন্ন আর্থিক সুবিধার দাবি নিয়ে সরব হন আন্দোলনকারীরা। SHARES জাতীয় বিষয়: পরিকল্পনারওশনশিক্ষায়ও