ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার হুমকি হামাসের

প্রকাশিত: ১:৩৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এই কারণ দেখিয়ে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া  পর্যন্ত ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া স্থগিত থাকবে বলে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে গোষ্ঠীটি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সামনের শনিবার আরও ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল হামাসের। গত তিন সপ্তাহের মতো এবারও জিম্মিদের বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।

হামাসের আকস্মিক ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় তেল আবিবের জিম্মি চত্বর ( হস্টেজ স্কয়ার) নামে পরিচিত হয়ে ওঠা এলাকায় জড়ো হন জিম্মিদের স্বজনরা। সরকারের কাছে তারা দাবি জানান, কোনও কারণেই যেন যুদ্ধবিরতি চুক্তি ব্যর্থ হতে না দেওয়া হয়।

অপরিকল্পিত ওই সমাবেশে প্রায় দু হাজার মানুষ উপস্থিত হন। সোশানা ব্রিকম্যান নামের এক বিক্ষোভকারী বলেছেন, সেখানে (হামাসের বন্দিদশায়) যাদের থাকার কথা নয়, তাদের সবার ঘরে ফেরা উচিত।

এদিকে, নিজেদের আকস্মিক ঘোষণার পক্ষে সাফাই গেয়ে হামাস দাবি করেছে, পরবর্তী বন্দি বিনিময়ের নির্ধারিত সময়ের পাঁচদিন আগেই এই ঘোষণা করেছে তারা, যেন মধ্যস্থতাকারীরা চুক্তির শর্ত ঠিকঠাক মতো মেনে চলতে ইসরায়েলকে চাপে রাখতে পারে। এতে সময়মতো বিনিময় সম্পন্ন হওয়ার দ্বার খোলা থাকবে।

হামাসের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে হামাস।

তিনি আরও বলেছেন, গাজায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার জন্য এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা, জাতীয় নিরাপত্তা এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই মিসরীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি ভেঙে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন মধ্যস্থতাকারীরা। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে এবং কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর করা সম্ভব হয়।

চুক্তিটি তিন ধাপে পুরোপুরি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। প্রথম ধাপে ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা, যাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২১ জন ছাড়া পেয়েছেন। বিনিময়ে কয়েকশ ফিলিস্তিনিকে বন্দিদশা থেকে ছেড়ে দিয়েছে ইসরায়েল। তাদের মধ্যে অনেকে ইসরায়েলে হামলা চালানোর জন্য দীর্ঘ মেয়াদের কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করছিলেন।