ফারাক্কা বাঁধে পানির প্রবাহ পরিদর্শনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা প্রকাশিত: ৭:৫২ অপরাহ্ণ, মার্চ ৪, ২০২৫ ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকের জন্য পশ্চিমবঙ্গ গিয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল। এই সফরের শুরুতে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ফারাক্কা বাঁধের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন তারা। সফরের জন্য শুক্রবার পর্যন্ত তারা পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করবেন। সোমবার শতাব্দী এক্সপ্রেসে চড়ে ফারাক্কার উদ্দেশে রওনা দেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সন্ধ্যায় তারা নিউ ফারাক্কা স্টেশনে পৌঁছলে স্বাগত জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন ফারাক্কা বাঁধের জেনারেল ম্যানেজার আরডি দেশপাণ্ডে। পরে দেশপান্ডে ও প্রকল্প কর্মীরা কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রতিনিধিদের নিয়ে গেস্টহাউজের দিকে রওনা দেন। মঙ্গলবার সকালে বাঁধ পরিদর্শন করেন বাংলাদেশের নদী বিশেষজ্ঞরা। স্পিডবোটে করে ফারাক্কার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন তারা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন যৌথ নদী কমিশনের বাংলাদেশের সদস্য মোহাম্মদ আবুল হোসেন। এ সময় গঙ্গা থেকে পদ্মায় প্রবাহিত জলের পরিমাণ এবং অবস্থা খতিয়ে দেখা হয়েছে। গঙ্গা থেকে জল কী প্রক্রিয়ায় পদ্মায় প্রবাহিত হচ্ছে, তা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে দলটি। বাঁধ পরিদর্শনের পর মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেছেন, জানুয়ারি মাসে পানিপ্রবাহ ভাল ছিল। তবে ফেব্রুয়ারিতে কমেছে। যাবতীয় কাজ পানিবণ্টন চুক্তি অনুযায়ী বাস্তবায়িত হচ্ছে। চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করবে বিশেষ কমিটি। কলকাতায় এ নিয়ে রুটিন বৈঠক হবে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি হয় ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর। সেই সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এইচডি দেব গৌড়া ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা। গঙ্গার পানি সংক্রান্ত চুক্তি শেষ হতে চলেছে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে। তার আগেই এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী ৭ মার্চ কলকাতার একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে দুই দেশের প্রতিনিধিরা এই পানিবণ্টন চুক্তি ছাড়াও তিস্তা এবং অন্যান্য আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনা করবেন। বিশেষ করে, তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে, যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। SHARES জাতীয় বিষয়: প্রতিনিধিদলফারাক্কাস্টেশনে