প্রক্সি ভোটে বড় সংশয় ‘বিশ্বাস’ প্রকাশিত: ৮:২৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০২৫ বিশ্বের নানান প্রান্তে ছড়িয়ে আছেন এক কোটি ৩৬ লাখের মতো বাংলাদেশি ভোটার। এই প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে প্রক্সি ভোটের কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বাংলাদেশের ভোটারদের জন্য যা একেবারে নতুন। তবে এ পদ্ধতিতে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারা নিয়ে সংশয়ে প্রবাসীরা। একই মত সংশ্লিষ্টদেরও। প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনটি বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে এগোচ্ছে ইসি। সেগুলো হলো সময়ের মধ্যে সম্পাদনযোগ্য একটি পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি, অনলাইন পদ্ধতি এবং প্রক্সি ভোটিং পদ্ধতি। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হলে প্রক্সি ভোট পদ্ধতিটি মোটামুটি পরিসরে আর বাকি দুটি পরীক্ষামূলকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে মনে করছে কমিশন। নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর কথায়ও মিলছে এমন আভাস।তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, প্রক্সি ভোটের মাধ্যমে প্রবাসীদের প্রত্যাশা পূরণ না-ও হতে পারে। যিনি প্রক্সি দেবেন তাকে বলা হলো একজনকে ভোট দিতে, তিনি হয়তো প্রবাসীর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে অন্যজনকে দিলেন। এ জটিলতা কাটাতে প্রক্সি ভোটার কাকে ভোট দেবেন ই-মেইলে ও ফোনে যেন সেই তথ্য (খুদে বার্তা) চলে যায়, এমন পদ্ধতি রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদেরই একজন ইমতিয়াজ কাসেম। যিনি দীর্ঘদিন বসবাস করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়। যা বলছেন প্রবাসীরা প্রক্সি ভোটকে স্বাগত জানিয়ে ইমতিয়াজ কাসেম জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রক্সি ভোট পদ্ধতি সরকারের অনেক ভালো একটি উদ্যোগ। এর মাধ্যমে প্রবাসীরা ভোট দিতে পারবেন। সব সময় বলা হয়, কিন্তু প্রবাসীরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না। প্রক্সি ভোটে সেই প্রত্যাশা পূরণ হতে পারে।’তবে প্রক্সি ভোটের ক্ষেত্রে এই প্রবাসীরও একই সন্দেহ। বলেন, যিনি প্রক্সি দেবেন তাকে বললাম এক প্রতীকে ভোট দিতে, তিনি হয়তো সেই প্রতীকে ভোট না দিয়ে তার নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিলেন। এটা যেন না হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। প্রক্সি দেওয়া ব্যক্তি প্রবাসীর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন কি না, সেটা নিশ্চিত করতে একটি স্বয়ংক্রিয় ই-মেইল বা খুদে বার্তার পদ্ধতি রাখা যেতে পারে। কানাডা প্রবাসী আহমেদ সুলতান জাগো নিউজকে বলেন, প্রক্সি ভোটিং সিস্টেম ভালো উদ্যোগ। কোনো উদ্যোগই খারাপ নয়। তবে দেখতে হবে এটি কীভাবে ব্যবহার হয়। এর মাধ্যমে প্রবাসীদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন যেন হয়। আমি যাকে ভোট দিতে চাই তাকে যেন ভোটটা দিতে পারি, সেটা যেন নিশ্চিত করা হয়। জানতে চাইলে আরেক কানাডা প্রবাসী নুরুজ্জামান মামুন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারিনি। বিগত সরকার আমাদের ভোট থেকে বঞ্চিত করেছে। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রক্সি ভোট ভালো উদ্যোগ। প্রযুক্তির অনেক সময় অপব্যবহারও হয়। আমার ভোট যেন সঠিক জায়গায় পড়ে সরকারকে এটি নিশ্চিত করতে হবে। SHARES জাতীয় বিষয়: প্রবাসীদেরমাধ্যমে