বৈষম্য কমাতে কানেক্টিভিটি ও ডিজিটাল সেবার সম্প্রসারণ জরুরি প্রকাশিত: ৪:৫৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সংস্কৃতিগত দিক থেকে যথেষ্ট মিল রয়েছে। এই অঞ্চলের ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে কানেক্টিভিটি এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যবধান কমিয়ে আনা জরুরি। বুধবার (৩০ এপ্রিল) দক্ষিণ এশীয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর পলিসি, রেগুলেশন ও সেবা সংক্রান্ত তিনদিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, দেশের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ইন্টারনেট কেবল বিনোদনের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। এমন অবস্থায় ইন্টারনেটের ফলপ্রসূ ব্যবহারের জন্য ডিজিটাল সেবার সম্প্রসারণ করতে হবে। এশিয়া প্যাসিফিক টেলিকমিউনিটির (এপিটি) মহাসচিব মাসানরি কুন্ডু বলেন, পারস্পরিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জন্য ভবিষ্যৎ পলিসি প্রণয়ন ও উদ্ভূত সমস্যার সৃজনশীল সমাধান নিরূপণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশের আতিথেয়তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি উল্লেখ করে পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটির সদস্য ও এসএটিআরসি ওয়ার্কশপ অন পলিসি, রেগুলেশন অ্যান্ড সার্ভিসের সভাপতি ড. খাওয়ার সিদ্দিক খোকার বলেন, টেলিকম পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা ও জ্ঞান বিনিময় প্রয়োজন, যা এই ধরনের কর্মশালার মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব। অন্যদিকে, বিটিআরসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কর্মশালায় ফাইভজি (৫জি), কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ইন্টারনেট অব থিংসের মত উদীয়মান প্রযুক্তির যুগে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর চ্যালেঞ্জ, ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ডিজিটাল সুরক্ষা, ভবিষ্যৎ ট্যারিফ নীতিমালা গঠন, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি পরিষেবার প্রভাব বিশ্লেষণ এবং ডিজিটাল রূপান্তরের কৌশল ও করণীয় বিষয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ৯টি দেশের নিয়ন্ত্রকসংস্থাগুলোর মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় হয়েছে। এতে ১০টি সেশনে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট মোট ৪০টি নিবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যান জনাব মো. আবু বকর ছিদ্দিক, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগের কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইকবাল আহমেদসহ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ ও ইরানের রেগুলেটরি সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, টেলিকম অপারেটর, টেলিকম বিশেষজ্ঞ এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। SHARES জাতীয় বিষয়: পলিসিরেগুলেশন