সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রস্তুত আশ্রয়কেন্দ্র, প্লাবিত নগরী প্রকাশিত: ৬:৪৭ অপরাহ্ণ, মে ৩১, ২০২৫ টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে আবারও প্লাবিত হলো সিলেটের সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাটের অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল। একই সঙ্গে সিলেট নগরীর অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি বাসাবাড়িতে ঢুকছে পানি। অনেকেই নিরাপদ স্থানে মালামাল রেখে স্বজনদের বাড়িতে উঠছেন বলে জানা যায়। শনিবার (৩১ মে) সকাল থেকে সিলেটে থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও দুপুর থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া আক্তার বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে আমরা প্রস্তুতি হিসেবে ৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি। অবশ্য লোভাছড়ার আশপাশ এলাকার বেশিরভাগ লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে না গিয়ে তাদের স্বজনদের বাড়িতে চলে গেছে। ইতোমধ্যে ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’ গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী বলেন, ‘সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত শুকনো খাবার রয়েছে।’ পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো) সিলেটের তথ্যমতে, জেলার কানাইঘাটে সুরমার পানি বেড়ে হয়েছে ১১ দশমিক ৫৬ সেন্টিমিটার, (বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সে.মি.)। সিলেট পয়েন্টে ৮ দশমিক ৯৮ সে.মি , (বিপৎসীমা ১০.৮ সে.মি.)। কুশিয়ারা জকিগঞ্জের অমলসিদে ১২ দশমিক ৯৩ সেন্টিমিটার, (বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৪০ সে.মি.)। শেওলা পয়েন্টে ১০ দশমিক ১৮ সে.মি., (বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ০৫ সে.মি.)। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৮ দশমিক ২৪ সে.মি., (বিপৎসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সে.মি.)। শেরপুর পয়েন্টে ৭ দশমিক ১৯ সেন্টিমিটার, (বিপৎসীমা ৮ দশমিক ৫৫ সে.মি.)। এ ছাড়া পাহাড়ি নদী কানাইঘাটের লোভাছড়ার পানি বেড়ে হয়েছে ১২ দশমিক ০৩ সে.মি, (বিপৎসীমা ৮ দশমিক ৫৫ সে.মি.)। জৈন্তাপুরের সারি নদী ১১ দশমিক ২৮ সে.মি., (বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৩৫ সে.মি.)। জাফলং ডাউকি ১০ দশমিক ৫৮ সে.মি., (বিপৎসীমা ১৩ সে.মি.)। গোয়াইনঘাট সারি গোয়াইন ১১ দশমিক ২৮ সে.মি, (বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮২ সে.মি) এবং একই বিপৎসীমায় জেলার কোম্পানীগঞ্জের ইসলামপুর ধলাই নদীর পানি বেড়ে ৯ দশমিক ১০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। SHARES জাতীয় বিষয়: অধিকাংশনিম্নাঞ্চল