রাতের আঁধারে বিক্রি হচ্ছে বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত কাগজ

প্রকাশিত: ৩:৩০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১১, ২০২৫

রাতের আঁধারে বিক্রি হচ্ছে বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত কাগজ। যা কিনছে রাজধানীর ফকিরাপুলসহ অধিকাংশ প্রেস ব্যবসায়ীরা। এতে করে বড় ধরনের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। আর ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন দেশীয় উদ্যোক্তারা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর রাজস্ব আদায়ে নানা পরিকল্পনা নিয়েও পূরণ করতে পারছে না লক্ষ্যমাত্রা। ফলে চাপ বাড়ছে বিদেশি ঋণের। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের বন্ড সুবিধায় শুল্কমুক্ত পণ্য আমদানির অপব্যবহার করছে একটি চক্র। আর বন্ড সুবিধার আমদানিকৃত কাগজ খোলাবাজারে বিক্রি হওয়ায়, ক্সতিগ্রস্থ হচ্ছে দেশীয় কাগজশিল্পও।

রাজধানীর ফকিরাপুলের হাজী সবেদ আলী লেন। যেখানে রয়েছে কয়েকটি প্রেস। তার মধ্যে একটির নাম ‘এসকে প্রিন্টিং’। বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার দিকে সেখানে একটি কাভার্ড ভ্যান থেকে নামানো হয় আমদানিকৃত কাগজ। এ কাগজ কোথা থেকে এলো? আর এর আমদানির বৈধ কোন কাগজ আছে কিনা, তা খোঁজার চেষ্টা।

গণমাধ্যমের প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই, নয়াবাজারের ব্যবসায়ী মানিক সরদারের কাছে। যিনি কাগজের সরবরাহকারী। দেখাতে পারেননি ট্রাক ভর্তি কাগজের চালান, রশিদ বা কোনো বৈধ কাগজ-পত্র।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে মাঝেমধ্যেই এখানে ট্রাকে করে নামানো হয় কাগজ। যা ব্যবহার করেন, ফকিরাপুলের বিভিন্ন প্রেস মালিক।
এসকে প্রিন্টিং এর মালিক- মানিক এর কাছে এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, কাগজের বৈধতা সম্পর্কে জানা নেই তার।
তবে ঘটনাস্থলে মতিঝিল থানা পুলিশের টহল টিম গেলেও, এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নিয়েই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তারা। দায়িত্বরত সাব ইন্সপেক্টর মাসুম জানালেন, তাদের আসলে দায়িত্ব কি?
ওই পুলিশ কর্মকর্তা দায়-দায়িত্ব তুলে দিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ঘাড়ে।