এমভি রুয়েনের জন্য ‘৫০০ কোটি রুপি’ মুক্তিপণ চেয়েছিল জলদস্যুরা প্রকাশিত: ৩:০৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০২৪ মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি রুয়েন থেকে আটক ৩৫ জলদস্যুকে মুম্বাই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। ভারতীয় নৌবাহিনী আরব সাগরে অভিযান চালিয়ে এমভি রুয়েন নামের যে জাহাজটি উদ্ধার করেছে, সেটি ছিনিয়ে নেওয়ার পর সোমালি জলদস্যুরা ৫০০ কোটি রুপি সমমানের মুক্তিপণ দাবি করেছিল। মুম্বাই পুলিশের বরাত দিয়ে রোববার এ খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। প্রায় এক দশক সুপ্ত থাকার পর লোহিত সাগরে জলদস্যুদের দৌরাত্ম্য আবার বেড়েছে। এডেন উপসাগর এবং আরব সাগরের উত্তরাঞ্চলে সামরিকভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ ভারত। ওই অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র পথে জলদস্যুদের দৌরাত্ম্য হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় তাদের দমনে ভারতীয় নৌবাহিনী সমুদ্রে জলদস্যু দমন অভিযান শুরু করেছে। সেই অভিযানের অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে তারা মাল্টার পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ এমভি রুয়েন জব্দ করে এবং সেটিতে থাকা ১৭ জন ক্রুকে উদ্ধার করে। ১৫ মার্চ আরব সাগরে শুরু হওয়া সেই রুদ্ধশ্বাস অভিযান শেষ হয় ৪০ ঘণ্টা পর। ওই জাহাজ দখল করে রাখা ৩৫ সোমালি জলদস্যুকে আটক করে শনিবার মুম্বাই পৌঁছায় ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতা। পরে দস্যুদের মুম্বাই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ভারতের ২০২২ সালের মেরিটাইম অ্যান্টি-পাইরেসি অ্যাক্ট, ১৯৬৭ সালের বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন এবং ১৯৫৯ সালের অস্ত্র আইনের বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে গ্রেপ্তার সোমালি জলদস্যুদের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ, চাঁদবাজি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, অন্যায়ভাবে আটকে রাখা, হত্যাচেষ্টা এবং অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা সঞ্জয় লাটকার জানান, গ্রেপ্তার জলদস্যুদের সঙ্গে কথা বলার জন্য তারা সোমালি ভাষা জানা একজন ব্যক্তিকে নিয়োগ করবেন। কারণ জলদস্যুরা সোমালি ছাড়া অন্য কোনো ভাষা জানে না। জলদস্যুদের পাশাপাশি দুটি ছোট নৌকা, তিনটি ইঞ্জিন, নয়টি মোবাইল ফোন, ১৯৬টি কার্তুজ, একটি ছুরি, একটি ক্যামেরা এবং গ্রেপ্তার জলদস্যুদের কয়েকজনের পাসপোর্টও পুলিশের কাছে জমা দিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: জলদস্যুনৌবাহিনীভারত