ছাত্র রাজনীতির পথ খুলল বুয়েটে, শিক্ষার্থীদের শঙ্কা কাটবে কীভাবে

প্রকাশিত: ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২, ২০২৪

আন্দোলনের মধ্যেই প্রকৌশল শিক্ষার এ উচ্চ বিদ্যাপীঠে ছাত্র রাজনীতি চালু হলে ক্যাম্পাসে রাজনীতির নামে এর অপব্যবহার বন্ধ এবং শিক্ষার্থী ‘নিপীড়নের’ শেষ দেখতে চান শিক্ষাবিদরা।

সাড়ে চার বছর আগে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যার জেরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে উচ্চ আদালত; তবে যে প্রেক্ষাপটে ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ, সেটির প্রতিকার কীভাবে হবে তা নিয়েও কথা উঠছে।

হাই কোর্টের রায় মেনে আবার প্রকৌশল শিক্ষার এ বিদ্যাপীঠে ছাত্র রাজনীতি চালু হলে ক্যাম্পাসে রাজনীতির নামে এর অপব্যবহার বন্ধ এবং শিক্ষার্থী ‘নিপীড়নের’ শেষ দেখতে চান শিক্ষাবিদরা।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও শঙ্কা বহাল থাকার প্রেক্ষাপটে সাময়িক বিরতির পর ছাত্র রাজনীতির পথ খুললে আবরার হত্যায় দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত এবং ছাত্র রাজনীতির নামে ‘অবৈধ ও বেআইনি’ আচরণ বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয়কে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

বুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থী ও রাজনীতি সচেতন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে দুই ধরনের অবস্থানের মধ্যে সাবেক শিক্ষার্থীরাও এক্ষেত্রে দ্বিধা বিভক্ত। সাবেকদের মধ্যে অনেকে যেমন নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি চান, তেমনি অনেকেই রাজনীতির নামে পেশিশক্তির অপতৎপরতা দেখতে চান না বলে মন্তব্য করেছেন।

হঠাৎ করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের বুয়েট ক্যাম্পাসে আসা নিয়ে শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশের আন্দোলনের মধ্যে আবার ছাত্র রাজনীতির বিষয়টি সামনে আসে গত কয়েকদিনে। ছাত্র রাজনীতি চালুর দাবিতে ছাত্রলীগ ও সমমনা বুয়েট শিক্ষার্থী এবং এর বিপরীতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচির মধ্যে সোমবার হাই কোর্টের আদেশ আসে।

এরপর আদালতের রায় মেনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে মনোভাব প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হাল ছাড়ছেন না। তারা চান হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালাক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।