বন্ধুদের সঙ্গে মিলে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা করেন ফুফাতো ভাই প্রকাশিত: ৫:০৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০২৪ মাত্র সাত হাজার টাকার চুক্তিতে বন্ধুদের কাছে সাত বছরের শিশু মামাতো বোনকে ধর্ষণের জন্য তুলে দেন ফুফাতো ভাই ছাব্বির। পরে বন্ধুদের সাথে নিজেও ধর্ষণ করেন মামাতো বোনকে। এরপর শিশুটি ধর্ষণের কথা বলে দেওয়ার কথা বললে সবাই মিলে তাকে হত্যা করেন। পরে মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যান সবাই। সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় সাত বছরের শিশুকে দলবেঁধে ধর্ষণ ও হত্যার রহস্য সাত বছর পর উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার দুই আসামি শিশুর ফুপাতো ভাই ছাব্বির হোসেন (২০) ও শাকিল খান (২১) জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছেন। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিবিআই পুলিশ সুপার রেজাউল করিম। পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, ২০১৭ সালে চৌহালী উপজেলার দত্তকান্দি হাই স্কুল মাঠে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে যায় শিশুটি। সেখানে দত্তকান্দি গ্রামের রশিদ মেম্বারের ছেলে মিলন পাশাসহ অন্যান্য আসামিরা ছাব্বির হোসেনের সঙ্গে শিশুটিকে দেখেন। তখন আসামিরা শিশুটিকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করেন। তারা শিশুটিকে ধর্ষণের জন্য ছাব্বির হোসেনকে সাত হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি হয়ে ছাব্বির হোসেন শিশুটিকে নিয়ে মধ্য শিমুলিয়া চরের ফসলের মাঠে নিয়ে যান। সেখানে ছাব্বিরসহ সবাই মিলে দলবেঁধে ধর্ষণ করেন শিশুটিকে। এ সময় শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বারবার বলতে থাকে সবাইকে ঘটনার কথা বলে দেবে। তখন ধর্ষণকারীরা শিশুটিকে হত্যার পরিকল্পনা করেন এবং পরনের ওড়না দিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে চলে যান। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটি তদন্তে দায়িত্ব দেওয়া হয় পিবিআইকে। পিবিআই নিহত শিশুটির সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখতে পায়, শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষায় শিশুটির পরনের পোশাকে বীর্যের উপস্থিতিও পাওয়া যায়। SHARES জাতীয় বিষয়: ধর্ষণশিশু