৩২ বছরের দুঃখ ভুলে ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা

প্রকাশিত: ১০:১৯ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৭, ২০২৪

আফগানিস্তান ৫৬ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পরই ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছিল। তবে আফগানিস্তান বলেই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সে চেষ্টা যথেষ্ট ছিল না। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ৯ উইকেটের জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

১৯৯২ সাল থেকে চেষ্টার পর এই প্রথম কোনো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল দক্ষিণ আফ্রিকা।

নাভিন উল হকের প্রথম ওভারেই বোঝা গেছে, ৫৬ রান ‘মাত্র’ নাও হতে পারে। প্রথম বলটা নীচু হয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয় বলটা আবার বাড়তি বাউন্স করে আঘাত হানল কুইন্টন ডি ককের পাঁজরে। ফজল হক ফারুকি একটি বল আউট সুইং করিয়ে পরের বলটি যখন ভেতরে ঢোকালেন, সেটা আর আটকাতে পারেননি ডি কক।

৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাতে পারত দক্ষিণ আফ্রিকা। ০ রানে থাকা এইডান মার্করাম নাভিনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন। আম্পায়ার টের পাননি, বোলারের মৃদু আবেদনে অধিনায়ক রশিদ খান আগ্রহী হলেও উইকেটকিপার রহমানউল্লাহ গুরবাজ পাত্তা দেননি। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা গেছে, বল মার্করামের ব্যাট ছুঁয়ে গেছে। সে ওভারের প্রথম বলেই অফ ফর্মে থাকা রিজা হেন্ডরিকস ক্যাচ দিয়েছিলেন থার্ড ম্যানে। কিন্তু ওমরজাই বলের ফ্লাইট বুঝতে পারেননি।

৩ ওভারে ৬ রান তোলা দক্ষিণ আফ্রিকা ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে রশিদ খান নিজে বোলিংয়ে এসেছিলেন। কিন্তু এতেও লাভ হয়নি। ৩৪ রান নিয়ে পাওয়ার প্লে শেষ করে প্রোটিয়ারা।

উইকেট সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও আফগানিস্তানের পেসাররা পারছিলেন না তা কাজে লাগাতে।  বল কখনো নীচু হয়ে যাচ্ছিল, কখনো আচমকা বাউন্স করছিল। কিন্তু পুঁজি যখন মাত্র ৫৬, তখন এ নিয়ে আর কত লড়াই করা যায়। পুরো বিশ্বকাপ ব্যর্থ হলেও আজ পরিস্থিতির দাবি মেনে হেন্ডরিকস ভালো ব্যাট করেছেন। পুরো ম্যাচের একমাত্র ছক্কাও মেরেছেন হেন্ডরিকস। ওমরজাইকে টানা ছক্কা ও চার মেরে যখন দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথমবারের মতো কোনো বিশ্বকাপের ফাইনালে তুললেন, তখনো ইনিংসের ৬৭ বল বাকি। ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন হেন্ডরিকস, ২৩ রানে ছিলেন মার্করাম।