মুরগির বাজারে নিম্নগতি, বাচ্চার দরেও স্বস্তি

প্রকাশিত: ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২, ২০২৪

কোরবানির আগে থেকে কমতে থাকা মুরগির দাম ঈদের পর আরও কমেছে। মুরগির পাশাপাশি কমে এসেছে বাচ্চার দরও, যার ফলে খামারিদের উৎপাদন খরচ ভবিষ্যতে আরও কমে আসবে। তবে খাবারের দাম এখনও বাড়তি, সেটিও কমার আশায় খামারিরা।

ঢাকার কাঁচাবাজারে কেজিপ্রতি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় নেমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম, যা বছরের সর্বনিম্ন বলে সরকারি সংস্থা টিসিবির হিসাবে দেখা যাচ্ছে।

সোনালি মুরগিও এক মাসে ১০০ টাকার চেয়ে বেশি কমে নেমেছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা।

টাকা এক দশক স্থিতিশীল থাকার পর ২০২২ সাল থেকে মুরগির দরে উত্থান ঘটে। এই সময়ে বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানের বাজার নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা হয়।

খোদ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাজারে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার বিষয়ে বক্তব্য এসেছে, বড় করপোরেট কোম্পানিকে নিয়ে মত বিনিময় হয়েছে। সেখানে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয়েছে।

রোজার ঈদের আগে-পরে মুরগির বাজার ছিল গরম। এক পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা আর সোনালি মুরগির দর ৪২০ টাকাতেও উঠে যায়।

তবে কোরবানির ঈদের আগ থেকে দর নিম্নমুখী হতে থাকে। ঈদের পর তা কমতে থাকে আরও। খামারিরা বলছেন, এখন যে দর, তাতে তাদের লোকসান হচ্ছে। এই অবস্থায় অনেক কামার বাচ্চা তোলাও বন্ধ করে রেখেছেন বলে খামারিদের পক্ষ থেকে বক্তব্য এসেছে।

বাচ্চার চাহিদা কমার প্রভাবে কমে এসেছে দামও, এই মুহূর্তে এক দিনের বাচ্চা ৩৭ থেকে ৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যা গত ছয় মাসেও কিনতে পারেননি খামারিরা।

খামারিরা গত দেড় থেকে দুই বছর ধরেই বারবার বাচ্চা ও খাবারের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। মাঝে এক দিনের বাচ্চা ১০০ টাকা দিয়েও কিনতে হয়েছে। খাবারের দাম এই সময়ে দেড় গুণেরও বেশি বেড়েছে।