এআইইটি প্রকল্পে গচ্চা ৪০০ কোটি টাকা প্রকাশিত: ১২:৫৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০২৪ আট বছরে ৪০০ কোটি টাকার বেশি খরচ করেও কোনো সুফল মিলছে না প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের একটি প্রকল্পে। উল্টো এখন কর্মকর্তারা বলছেন, ভ্রূণ স্থানান্তরকরণের মতো বিজ্ঞানী নেই দেশে সে জন্য সাফল্য আসেনি প্রকল্পটিতে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কৃত্রিম প্রজনন ও ভ্রূণ স্থানান্তরকরণ (এআইইটি) প্রকল্পে এমন হরিলুট ধরা পড়ে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের অনুসন্ধানে। আগের দুই ধাপে দেড় শ কোটি টাকা খরচের পর এআইইটির তৃতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। প্রায় ৫১২ কোটি টাকার প্রকল্পটির লক্ষ্য ছিল দেশে প্রথমবারের মতো ভ্রূণ স্থানান্তরকরণ প্রযুক্তির প্রতিষ্ঠা, আর উন্নতমানের ষাড় গরু দিয়ে কৃত্রিম প্রজননে গতি আনা। এ জন্য তিনটি আধুনিক ল্যাব স্থাপনেরও কথা ছিল। সরেজমিনে সাভার ল্যাবে গিয়ে দেখা যায়, ভবন তৈরি হলেও কেনা হয়নি যন্ত্রপাতি। দেওয়া হয়নি বিদ্যুতের সংযোগ। একই অবস্থা চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর ল্যাব দুইটিরও। অথচ গেল জুনেই শেষ হয়ে যায় প্রকল্পের মেয়াদ। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা এখন বলছেন, প্রকল্পের মূল অনুসঙ্গ পরীক্ষাগার ভবনই বুঝে পাননি তাঁরা। এআইইটি ল্যাব সাভারের উপ পরিচালক ডা. মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও আমরা এখনও নতুন ল্যাবের দায়িত্ব বুঝে পাইনি।’ সব অর্থ খরচের পর প্রকল্পের উদ্দেশ্যে নিয়ে সন্দিহান খোদ প্রকল্প পরিচালক ডা. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘প্রথম যে ভ্রূণ স্থানান্তর করা হয়, সেটি ৬০ দিন পর গর্ভপাত হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়া সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে গেলে কমপক্ষে এক সেট সমমানের বিজ্ঞানী প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে ১০ জন বিজ্ঞানী দরকার, যা আমরা অ্যাফোর্ড করতে পারছি না।’ দেশে বর্তমানে সনাতনী পদ্ধতির কৃত্রিম প্রজনন ব্যবস্থা চালু আছে যাতে ৫০ শতাংশ ফল পাওয়া যায়। আর শতভাগ ও নিশ্চিত ফলের আশায় সরকার ভ্রূণ স্থানান্তরের জন্য এই দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পটি নিয়েছিল বলে জানান কর্মকর্তারা। SHARES অর্থনীতি বিষয়: অধিদপ্তরেরকর্মকর্তারাবিদ্যুতের