রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠনকারী আমলা-সিবিএ নেতাদের ফৌজদারি মামলায় বিচার দাবি প্রকাশিত: ৬:০৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪ রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠনের দায়ে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ (দন্ডবিধির ৪০৯ ধারা)-সহ অন্যান্য অভিযোগে অভিযুক্ত আমলা ও সিবিএ নেতাদের ফৌজদারি মামলায় বিচার করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের দায়মুক্তির ধারাবাহিকতা আর চলতে দেয়া যায় না। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘জাতীয় নাগরিক সমন্বয় কমিটি’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়েছে। এনজিও সংস্থা নিজেরা করি’র সমন্বয়ক খুশি কবির, এ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। ‘রংপুর চিনিকল চালু করার নামে গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল আদিবাসীদের ভূমি কেড়ে নেওয়ার প্রচেষ্টার প্রতিবাদে’ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে রংপুর চিনিকল পুনরায় চালু প্রসঙ্গে বলা হয়, গোবিন্দগঞ্জে রিকুইজিশন করা জমি আখ চাষের নামে নেয়া হলেও বিগত প্রায় দুই দশক ওই কাজে ব্যবহৃত হয় নি। তাই তিন ফসলা ১ হাজার ৮৪২ দশমিক ৩০ একর কৃষিজমি মূল সাঁওতাল আদিবাসী মালিকদের উত্তরাধিকারী ও তাদের পরিবার পরিজন এবং অন্যান্য আদি-বাঙালি কৃষক পরিবারের কাছে অবিলম্বে হস্তান্তর করতে হবে। এ ব্যাপারে কোন গড়িমসি করা যাবে না। সংবাদ সম্মেলনে ‘রাষ্ট্রায়ত্ত বন্ধ হওয়া চিনিকল চালুর সিদ্ধান্তের কোনো যৌক্তিক ভিত্তি নেই’- এমন দাবি করে বলা হয়, বর্তমানে দেশে সরকারি চিনিকলের সংখ্যা ১৫টি। এর মধ্যে ৩টি ব্রিটিশ আমলে, ৯টি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আমলে এবং ৩টি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর স্থাপিত হয়েছে। তবে এই ১৫টির মধ্যে বর্তমানে চালু আছে ৯টি। ‘আখের সংকট ও লোকসানের’ কারণ দেখিয়ে কয়েক বছর আগে বাকীগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেয় সরকার। তবে এ চিনিকলগুলো কার্যত আগে থেকেই ধুকে ধুকে চলছিল কিংবা এক প্রকার বন্ধ হয়েই ছিল। SHARES জাতীয় বিষয়: অভিযোগেরাষ্ট্রীয়