যে কারণে এত দুর্ঘটনা ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে

প্রকাশিত: ১:০৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২, ২০২৫

ওভার স্পিড, ওভার ট্রেকিং, সেইসঙ্গে যত্রতত্র পার্কিং আর পারাপারে রীতিমতো দুর্ঘটনার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে। গেলো ডিসেম্বরর শেষ সপ্তাহেও মুন্সিগঞ্জ অংশে ঝরেছে ৮ প্রাণ। দুমড়ে-মুচড়ে গেছে অন্তত ২০টি যানবাহন। এসব দুর্ঘটনায় যাত্রীরা দুষছেন বেপরোয়া চালকদের। জোরালো আইন প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন তারা।

তথ্যমতে, ২০২০ সালে চালু হয় ঢাকা-মাওয়া-ভাঙা মহাসড়ক। দ্রুত গতিতে যান চলাচলের জন্য দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে এটি। এরমধ্যে আলোচিত অংশ ঢাকা থেকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া পর্যন্ত ঢাকা-মাওয়া অংশ চালু হয় প্রথমে। ৪ লেনের মূল এক্সপ্রেসওয়ের পাশে আরও ৪ লেনের সার্ভিস সড়ক। এছাড়াও ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস, ইন্টারচেঞ্জ, ওভারব্রিজসহ নানা সুবিধা। তবে এরমধ্যেই প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

হাইওয়ে পুলিশের হিসাব মতে, ২০২৪ সালে মুন্সিগঞ্জ অংশে মোট ৪৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক ও আহত শতাধিক। সর্বশেষ গত ২৭ ডিসেম্বর ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় অপেক্ষমাণ মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারসহ কয়েকটি গাড়িকে চাপা দেয় বেপারী পরিবহনের একটি বাস। এতে প্রাণ যায় একই পরিবারের ৪ জনসহ ৬ জনের।

এদিকে ফায়ার সার্ভিসের হিসাবে দুর্ঘটনার সংখ্যা ৬৪। সরকারি আরেকটি হিসাবে এ সড়ক নির্মাণের পর এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১৩৮ জন। প্রতিনিয়ত এমন দুর্ঘটনায় শঙ্কিত যাত্রীরা। বেপরোয়া গাড়ি চালানোসহ নানা অভিযোগ তাদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দেখা যায় যত্রতত্র পারাপার, পার্কিং, যাত্রী ওঠানামাসহ ট্রাফিক আইন অমান্যের হিড়িক। মূল এক্সপ্রেসওয়েতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার ও পাশের সার্ভিস সড়কে ৪০ কিলোমিটার গতিতে যান চালানোর নির্দেশনা রয়েছে। তবে নির্ধারিত গতি উপেক্ষা করছে অধিকাংশ যানবাহন। মহাসড়কে টহলরত হাইওয়ে পুলিশের স্পিডগানে দেখা যায়, কোনোটি ১০০, কোনোটি ১১০ কিলোমিটার গতিতে চলছে। মোটরসাইকেল আরও বেশি বেপরোয়া।