খিলগাঁওয়ে আগুনে পুড়েছে ২৪ গাড়ি প্রকাশিত: ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫ রাজধানীর খিলগাঁওয়ে স’ মিল থেকে সৃষ্ট আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে পাশের গ্যারেজপট্টিতে। এক এক করে পুড়তে থাকে ‘এল শেপের’ ওই গ্যারেজপট্টির ২০টি দোকান। এতে মেরামতের জন্য থাকা ২৪টি গাড়ি এবং দুটি স’ মিল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গত শুক্রবার রাতে খিলগাঁওয়ের তালতলায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে প্রায় নিঃস্ব হয়ে গেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গ্যারেজপট্টিতে এখন অবশিষ্ট কিছুই নেই। দোকান কাঠামো, মেরামতের জন্য আনা গাড়ি, গাড়ির যন্ত্রাংশ, সব কিছুই আগুনে পুড়ে গেছে। পোড়া অবকাঠামো দেখে বোঝা যাচ্ছিল, গাড়ি ও মোটরসাইকেলগুলো অনেকটা সারিবদ্ধভাবেই গ্যারেজপট্টিতে রাখা ছিল। গ্যারেজপট্টির চালের টিনগুলো ঘটনাস্থলে পড়ে ছিল, আগুনের তাপে টিনগুলো বেঁকে গিয়েছে। দোকানগুলোর যন্ত্রপাতি রাখার আলমারিও পুড়ে গেছে। এদিকে বেশ কয়েকটি সিলিন্ডার ঘটনাস্থলে পড়ে ছিল। গ্যারেজপট্টির ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এসে আহাজারি করছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক মো. মুন্না মিয়া বলেন, আগুনে গ্যারেজের প্রায় ১৭টি প্রাইভেটকার এবং সাতটি মোটরসাইকেল পুড়ে গেছে। গ্যারেজপট্টির ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘গত শুক্রবার এই গ্যারেজপট্টি বন্ধ ছিল। দোকানের মালিক বা কর্মচারীদের কেউ ছিলেন না। কারণ গাজীপুরে মালিক সমিতির পিকনিক চলছিল। শুধু দুজন সিকিউরিটি গার্ড ছিলেন। স’ মিলে আগুন লাগলে সেই আগুন এত দ্রুত আমাদের গ্যারেজপট্টিতে ছড়িয়ে পড়বে এবং সবকিছু এমনভাবে পুড়ে যাবে, এটা ভাবতে পারছি না। হয়তো কেউ আগুন ধরিয়ে দিতে পারে।’ খিলগাঁও, শাজাহানপুর, সবুজবাগ, মুগদা এবং রামপুরা অঞ্চলের বাংলাদেশ অটোমোবাইল মালিক সমিতির সভাপতি ও মাসুম অটো ওয়ার্কশপের মালিক মো. মাসুম বলেন, ‘অনেক সময় আমাদের মার্কেট বন্ধ থাকে। কোনো দিন কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু কালকে এখানে কেউ ছিলেন না, তখনই আগুন লেগে গেল! এটা সন্দেহের বিষয়।’ আগুনের সূত্রপাত কী তা খুঁজে বের করতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি তদন্ত শুরু করেছে পুলিশও। আগুনের ঘটনায় খিলগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। এ বিষয়ে খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাউদ হোসেন বলেন, ‘আগুনের সূত্রপাত খুঁজে বের করতে বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখেই আমরা তদন্ত করছি।’ ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘‘খিলগাঁওয়ের আগুনে দুটি স’ মিল ও ২০টি দোকান পুড়েছে। ওই গ্যারেজে ‘অক্সিএসিডিলিন’ শিখা ছিল, পেইন্টিং কেমিক্যাল ছিল, অনেক সিলিন্ডার ছিল। সেখানে বিস্ফোরণ ঘটায় আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। আমাদের ১০টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে তা এখনই বলা সম্ভব নয়।’’ রাতে পুড়েছে কড়াইল বস্তির ৬১ ঘর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার রাত ১২টা ৪৪ মিনিটে কড়াইল বস্তির একটি রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে বস্তির ৬১টি ঘর পুড়ে যায়। প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১টা ৩৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর নেই। SHARES জাতীয় বিষয়: ক্ষতিগ্রস্তগ্যারেজপট্টিতেব্যবসায়ীরা