ইসির ভাবনায় নেই স্থানীয় সরকার, ম্যান্ডেট সংসদ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রকাশিত: ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৩, ২০২৫ ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর বর্তমানে মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় প্রধান দুই দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দল দুটির মধ্যে নানা কারণে মতানৈক্য চরমে। প্রায় প্রতিদিনই দুই দলের নেতাকর্মীরা পরস্পরকে রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করে কথা বলছেন। এ অবস্থায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় বিএনপি। আর প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর সংসদ নির্বাচনের পক্ষে জামায়াতে ইসলামী। ইতোমধ্যে সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার সরকারের অবস্থান জানিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জুনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার দুটি তারিখকে টার্গেট করে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে মাঠের রাজনীতির প্রধান দুই দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে সমঝোতা চায় ইসি। এ দুই দলই জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করছে এবং একই সঙ্গে তাদের মতামত দিচ্ছে। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে— কোন নির্বাচন আগে হচ্ছে, জাতীয় নাকি স্থানীয় সরকার নির্বাচন? এই প্রশ্নটি সামনে আসায় রাজনৈতিক দলগুলো এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের সংশয় তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন— অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতে চায়? সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জাতীয় ও স্থানীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ, এম, এম, নাসির উদ্দিন। তিনি জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জোরেশোরে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে সরকার থেকে ডিসেম্বর বা আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। জুনে তো করা যাবে না। করলে হয়ত এপ্রিলে করতে হবে। তবে আমরা মিনিমাম সময় ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছি। তিনি আরও জানান, সরকার ঐকমত্য কমিশন করেছে, যার মেয়াদ ছয় মাস। তাহলে মিনিমাম সংস্কার যদি হয়, তবে ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে হবে। আর ডিসেম্বরে করতে হলে অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। এখন ভোটার তালিকাসহ অন্যান্য প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। SHARES জাতীয় বিষয়: জামায়াতেবর্তমানেরাজনীতিতে