গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় একরাতেই নিহত ৩৩০ প্রকাশিত: ২:৩৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০২৫ যুদ্ধবিরতিতে নিজেদের ঘরবাড়িতে ফিরে এসেছিল গাজাবাসী। আর এমন সময়ে গাজায় ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় রাতভর ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৩৪২ জন নিহত হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আরও বহু লোক ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে বলে দাবি করেছে স্থানীয়রা। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে চালানো-বিশেষ করে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস ও রাফাহ, উত্তর গাজার গাজা সিটি, এবং মধ্যাঞ্চলের দেইর আল-বালাহ এলাকায় রাতভর নৃশংস হামলা চলেছে। হামাস ইসরায়েলের এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এটিকে ‘বিশ্বাসঘাতক ও কাপুরুষোচিত হামলা’ বলে উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে, এটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে নস্যাৎ করার একটি পরিকল্পিত পদক্ষেপ। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার অভিযোগও তুলেছে হামাস। বলেছে, মধ্যস্থতাকারীদের উচিত ইসরায়েলকে ‘যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য সম্পূর্ণ দায়ী’ করা। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় এই হামলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর তারা ‘ব্যাপক’ হামলা শুরু করেছে। বিবিসির গাজা প্রতিবেদক কায়রো থেকে জানিয়েছেন, ১৯ জানুয়ারির যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর এটি ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় বিমান হামলা। গাজা সিটির এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, তারা আবারও গাজায় নরকের আগুন ঝরিয়েছে। নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, ইসরায়েল এখন থেকে হামাসের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তি নিয়ে কাজ করবে এবং হামাসকে আমাদের জিম্মিদের মুক্তি দিতে বারবার অস্বীকৃতি জানানোর জন্য দায়ী করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসরায়েল আবারও হামলা শুরু করেছে-এমন চিৎকারে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। আর তখনই চারদিকে আগুন দেখতে পাই। আল জাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজ্জুম দেইর আল-বালাহ থেকে জানান, হামলা প্রধানত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়, অস্থায়ী স্কুল ও আবাসিক ভবনে চালানো হয়েছে, যেখানে বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। তিনি বলেন, আমরা গত এক ঘণ্টায় গাজার আকাশে ইসরায়েলি ড্রোন ও যুদ্ধবিমান স্পষ্টভাবে দেখতে পেয়েছি। নিহতদের মধ্যে নবজাতক, শিশু, নারী ও বৃদ্ধরাও রয়েছেন। এছাড়া কয়েকজন উচ্চপদস্থ হামাস কর্মকর্তা এই হামলায় নিহত হয়েছে বলেও জানান তিনি। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: ইসরায়েলিবিমান