বৈশাখী গরমে ঠান্ডা থাকতে পান করুন বেলের শরবত প্রকাশিত: ২:২৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৪, ২০২৫ চৈত্র শেষের জ্বালাধরানো গরমে সুস্থ থাকতে দেওয়া হচ্ছে নানা রকম পরামর্শ। পরিমিত খেতেও বলা হচ্ছে। কিন্তু কব্জি ডুবিয়ে খেতে বাঙালির এমনিতেই কোনো অজুহাত লাগে না। আর বৈশাখের প্রথম দিনে ভূরিভোজ না হলে কি আর বাঙালির রসনা তৃপ্তি হয়! তাই গরমকে যতই তুড়ি মেরে ওড়ানোর চেষ্টা করুন না কেন, পেট কিন্তু সে কথা শুনবে না। একে গরম, তার ওপরে তেল-ঝাল খেলে পেটের অবস্থা বেহাল হবেই। বদহজমে বর্ষবরণের আনন্দই মাটি হবে। তাই আগে থেকেই পেট ঠান্ডা করে রাখা জরুরি। গরমের কথা মাথায় রেখে বেলের শরবতের কথা ভুলে গেলে চলবে না। আগেকার দিনে পেট ভালো রাখতে বেলের শরবতের ওপর ভরসা করা হতো। তখন এত রকম পানীয়ের রমরমা ছিল না। বেল খেলে গায়ে রোদের তেজ কম লাগবে। আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে তা-ও দূর হবে। কাজের ফাঁকে এক গ্লাস বেলের শরবত খেলে নিমেষে শরীর-মন চাঙা হয়ে ওঠবে। বেলের গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। এতে আছে ভিটামিন, আছে ফাইবারও। বেলের আবার অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণও আছে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে নানা জীবাণুর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে। এতে আছে ট্যানিন, যা হজমে সমস্যা হতে দেবে না। বেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে, যা শরীরের ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে। গরমের সময়ে পেটফাঁপা, পেট ফুলে যাওয়ার সমস্যা বাড়ে। সেই সময়ে অ্যান্টাসিড না খেয়ে বরং বেলের শরবত খেলে উপকার হবে অনেক বেশি। দীর্ঘসময় পেট ভর্তিও থাকবে এবং ভাজাভুজি খাওয়ার ইচ্ছাও কমবে। আলসারের সমস্যায় দীর্ঘ সময় ধরে যারা ভুগছেন, তারা যদি রোজ এক গ্লাস করে বেলের শরবত খান, তা হলে উপকার হবে। এখন প্রশ্ন হলো, ডায়াবিটিসের রোগীরা কি বেল খেতে পারবেন? বলে রাখা ভালো, বেলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম। তাই রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতেও এই ফলের জুড়ি মেলা ভার। বেল আবার ত্বকের জন্যও ভালো। গরমের সময়ে ত্বকে ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যা বাড়লে বেল খেয়ে দেখতে পারেন। এতে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। গরমে পেট ঠান্ডা রাখতে পুষ্টিবিদেরা নানা রকম ডিটক্স পানীয় খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কোনোটি ফলের কুচি দিয়ে, কোনোটি আবার নানা রকম সবজি পানিতে ভিজিয়ে। কিন্তু এই ব্যস্ততার সময়ে এতো রকম ডিটক্স পানীয় তৈরি করা সম্ভব হয় না অনেক সময়েই। তার ওপর বাড়ির বড়রা এমন ডিটক্স পানীয় খেতেই চাইবেন না। জেনে নিন বেলের শরবত তৈরির প্রণালি একটা বেল ভেঙে নিন মাঝখান থেকে। ভিতর থেকে শাঁস বের করে আনুন। শাঁসটা ভালো করে চটকে মেখে বীজগুলো আলাদা করে নিন। তারপর শাঁসের সঙ্গে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার ছেঁকে নিন সেই মিশ্রণ। ছাঁকার পরে তাতে অল্প চিনি মেশান। চিনি না খেলে দরকার নেই। অবশ্য গুড়ও দিতে পারেন। ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন ঘণ্টা দুয়েক। পরে গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন। এ সময় এক চিমটি লবণ দিয়ে চামচ দিয়ে নেড়ে নেবেন শরবতটি। চাইলে পুদিনাপাতাও ছড়িয়ে দিতে পারেন। SHARES লাইফস্টাইল বিষয়: বেলেরশরবত