উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, আগে যেমন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার, ইউএক্স ডিজাইনার, ক্লাউড ইঞ্জিনিয়ার ছিল না, ঠিক তেমনই এখনো নাম না জানা অনেক পেশার জন্ম হবে শুধুমাত্র এআই ঘিরে। এতে যারা মানিয়ে নিতে পারবে, নতুন কিছু শিখতে আগ্রহী হবে এবং সৃজনশীলভাবে কাজ করতে পারবে, তারাই টিকে থাকবে এবং এগিয়ে যাবে। হাসাবিস প্রযুক্তি শেখাকে কেবল সফটওয়্যার ব্যবহার শেখায় সীমাবদ্ধ রাখতে চান না। তিনি বলেন, “শুধু জানলেই হবে না যে গুগল কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, বুঝতে হবে গুগল কীভাবে কাজ করে।” এজন্যই তিনি জোর দেন বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত (STEM) বিষয়ের ওপর। পাশাপাশি তিনি যেসব সফট স্কিল বা মানবিক গুণ প্রয়োজন হবে বলে মনে করেন, তা হলো- শেখার আগ্রহ, মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা, সৃজনশীলতা, বিশ্লেষণধর্মী চিন্তাভাবনা। ভবিষ্যতের অনেক কাজ মেশিন বা রোবট করে ফেলবে, তবে যে কাজগুলো মানবিক বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা দাবি করে, সেসব কাজেই থাকবে মানুষের আধিপত্য। এজন্যই মানুষকে বুদ্ধি, শিক্ষা ও দক্ষতা দিয়ে মেশিনের চেয়ে আলাদা থাকতে হবে। ডেমিস হাসাবিস তরুণ শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেন—বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুধু সিলেবাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রেখে যেন তারা সময় বের করে নতুন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী বিষয়ের সঙ্গে পরিচিত হয়। তিনি বলেন, “এই সময়টা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এখন শেখা, পরীক্ষা করা, ভুল করা, আবার শেখার সুযোগ রয়েছে। কাজেই প্রযুক্তির গহনে ঢুকে পড়া এখনই সবচেয়ে ভালো সময়।” তিনি পরামর্শ দেন শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ওপেন সোর্স প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে, AI ল্যাব ঘাঁটতে, ফ্রি অনলাইন কোর্স করতে, এবং নিজের আগ্রহ অনুযায়ী বাস্তব সমস্যা সমাধানের প্র্যাকটিস চালিয়ে যেতে। তাঁর ভাষ্যমতে, ভবিষ্যতে জেতার জন্য শুধু কঠিন টেকনিক্যাল জ্ঞানই যথেষ্ট নয়। এর সঙ্গে প্রয়োজন নিজেকে বদলাতে পারার মানসিকতা। হাসাবিস বলেন, “মানুষের শক্তি কেবল বুদ্ধিমত্তা নয়, বরং মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা। এটাই মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব। তাই যে নিজেকে বদলাতে পারবে, সে-ই টিকে থাকবে।” তিনি আরও বলেন, “এআই কেবল ভবিষ্যৎ নয়, এটি এখনকার বাস্তবতা। এটি এখনই আমাদের জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। সময় চলে যাচ্ছে। এই সময় যার হাতে থাকবে এআই জ্ঞান, তার হাতেই থাকবে আগামী দিনের শক্তি।” ডেমিস হাসাবিসের এই বক্তব্য তরুণদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা দেয়—এআইকে ভয় নয়, বরং বোঝা এবং নিজের অনুকূলে ব্যবহার করা শিখতে হবে। প্রকাশিত: ২:০১ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০২৫ গরমে মানুষ শীতল এবং সতেজ থাকার জন্য প্রাকৃতিক উপায় খোঁজে। এসময় তরমুজ, শসা এবং ডাবের পানি জনপ্রিয় হলেও, আরেকটি ফল রয়েছে যা আপনাকে সতেজ ও শীতল রাখতে কাজ করে। বলছি তালশাঁসের কথা। মৌসুমী এই ফল কেবল সতেজই করে না সেইসঙ্গে আরও অনেক উপকারিতা নিয়ে আসে। এটি দেখতে কিছুটা স্বচ্ছ জেলির মতো, মিষ্টি ও ঠান্ডা রসে ভরা। মূলত তাল কাঁচা অবস্থায় এর ভেতরে যে বীজ থাকে সেই নরম শাঁসই হলো তালশাঁস। তালশাঁস যে কারণে উপকারী তালশাঁস হলো পানি, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের একটি প্রাকৃতিক উৎস। এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে, যা গ্রীষ্মকালে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ফলে ক্যালোরি কম থাকে এবং কোনো চর্বি থাকে না, যা শিশু এবং বয়স্কদের সহ সবার জন্য এটিকে একটি স্বাস্থ্যকর খাবার।তালশাঁস পটাসিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ। পটাসিয়াম শরীরে তরল ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং পেশীগুলোকে ভালভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। আয়রন রক্তের সুস্থতা বজায় রাখে। ভিটামিন এ এবং সি ত্বককে উজ্জ্বল করতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ফলটি পেটের জন্যও কোমল। এটি হজমে সাহায্য করে এবং অ্যাসিডিটি বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা প্রতিরোধ করে। প্রাকৃতিক হাইড্রেশন তালশাঁসের সবচেয়ে ভালো দিকগুলোর মধ্যে একটি হলো এর উচ্চ জলীয় উপাদান। প্রতিটি কামড় প্রাকৃতিক, মিষ্টি রসে পরিপূর্ণ যা ঘামের মাধ্যমে নষ্ট হওয়া তরলের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। যারা বাইরে বেশি সময় কাটান, খেলাধুলা করেন অথবা তাপ থেকে দ্রুত মুক্তি চান তাদের জন্য এটি বেশ কার্যকরী। তালশাঁস খাওয়া সহজ। বাইরের পাতলা খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং ভেতরে নরম, জেলির মতো ফল উপভোগ করুন। এটি এমনিতেই খেতে সুস্বাদু। আবার চাইলে ফলের সালাদে যোগ করতে পারেন অথবা ঠান্ডা খাবারের জন্য স্মুদিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি টাটকা এবং ঠান্ডা করে খাওয়া সবচেয়ে ভালো। ত্বকের জন্য ভালো তালশাঁস ত্বকের জন্যও ভালো। এর ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ ত্বককে নরম এবং উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। যেহেতু তালশাঁস হজম করা সহজ, তাই যাদের পেট সংবেদনশীল বা অসুস্থতা থেকে সেরে উঠছেন তাদের জন্যও এটি উপকারী। ফুড সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, তালশাঁসের মতো উচ্চ পানির উপাদানযুক্ত ফল ডিহাইড্রেশন এবং তাপ-সম্পর্কিত অসুস্থতা প্রতিরোধে কার্যকর। এই গবেষণায় সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য গ্রীষ্মকালে মৌসুমী, পানি-সমৃদ্ধ ফল খাওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। SHARES লাইফস্টাইল বিষয়: ডাবেরপানিহাইড্রেটেড