সাফল্য-ঐতিহ্যের প্রতীক ঢাকা স্টেডিয়াম ফিরে যাক সোনালি অতীতে প্রকাশিত: ৬:১৮ অপরাহ্ণ, জুন ৪, ২০২৫ তাকে নিয়ে এখন অনেক কথা। অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা। কবি সুকান্ত বহুকাল আগে লিখে গেছেন-‘তোমরা এসেছো, ভেঙেছো অন্ধকার, তোমরা এসেছো, ভয় করি নাকো আর। পায়ের স্পর্শে মেঘ কেটে যাবে, উজ্জ্বল রোদ্দুর। ছড়িয়ে পড়বে বহুদূর…বহুদূর।’ তারুণ্যের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের সেই কবিতার পংক্তিগুলো যদি এখন কেউ হামজা চৌধুরীকে নিবেদন করেন, তাহলে কি খুব ভুল হবে? বাড়াবাড়ি হবে? নাহ, মনে হয় মোটেই বাড়াবাড়ি মনে হবে না। কারণ খাদের কিনারায় পড়ে থাকা দেশের ফুটবল যে এখন হামজা চৌধুরীর হাত ধরেই আবার মাথা তুলে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে। ইংলিশ ফুটবলের এ পরিচিত মুখ হামজা চৌধুরী এখন বাংলাদেশের ফুটবলে সেই কাব্যলোকের রাজকুমার। তাকে নিয়ে দেশের ফুটবলে এসেছে নতুন জাগরণ। যে প্রজন্ম ক্রিকেটের উত্তরন আর ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে, মহাদেশীয় পর্যায়ে বারবার ব্যর্থতার কারণে ফুটবল থেকে মুখ সরিয়ে নিয়েছিল; সেই নতুন প্রজন্ম আবার ফুটবলকে ঘিরে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। হামজা চৌধুরীর পা ও মাথার ওপর ভর করে দেশের ফুটবল আবার জাগবে, তলানিতে থেকে উঠে আসবে; সে স্বপ্ন এখন প্রতিটি ফুটবল অনুরাগীর। তাইতো মাঠবিমুখ দর্শক আবার টিম বাংলাদেশের খেলা দেখতে মরিয়া। বাংলাদেশ আর সিঙ্গাপুরের ম্যাচ দেখতে সাজ সাজ রব। রীতিমত সাড়া পড়ে গেছে। কোরবানির ঈদের আগে গরু, ছাগল কেনার হিড়িক পড়ে যায় প্রতিবার। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ আর সিঙ্গাপুর ফুটবল ম্যাচের টিকিট কেনার হিড়িক। তরুণ প্রজন্মের মুখে একটাই কথা, ইংলিশ ফুটবলের পরিচিত মুখ হামজা চৌধুরীর খেলা দেখবো। তার জাদুকরি ফুটবল নৈপুণ্যে বাংলাদেশের ফুটবলকে অন্য উচ্চতায় দেখতে চাই। তরুণরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান। টিকিট কেটে ১০ জুন ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে বসে হামজার চৌধুরীর নৈপুণ্য চোখে দেখতে মরিয়া লাখ ফুটবল অনুরাগী। বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকিট কিনতে মরিয়া ফুটবল অনুরাগীদের একাংশ বাফুফে ভবনের সামনে অবস্থানও নিয়েছে। অথচ মাঠবিমুখ দর্শকরা উৎসাহী হয়ে পড়েছিলেন ক্রিকেটে। বাংলাদেশের ক্রিকেট ম্যাচ মানেই ছিল দর্শকদের উন্মাদনা। আকর্ষণীয় ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট আসর দেখতে গালে-হাতে উল্কি এঁকে শেরে বাংলায় ভিড় জমিয়েছেন দেশের ক্রীড়া অনুরাগীদের বড় অংশ। খেলাপ্রেমীদের কলতানে মুখর হয়ে থেকেছে হোম অব ক্রিকেট। আর ইতিহাসের অনেক বড় বড় ঘটনার সাক্ষী, সোনালী সাফল্যের ভেন্যু হয়েও অন্তরালে পড়ে গিয়েছিল ক্রীড়া কেন্দ্র ও ক্রীড়া তীর্থ ঢাকা স্টেডিয়াম। বড় অনাদর, অবহেলা ও অবমূল্যায়িত হয়েছে ঢাকা স্টেডিয়াম। এর মধ্যে আবার ৫৫ মাস ছিল খেলা বন্ধ। সংস্কার, পুণঃনির্মাণ এবং পুরো স্টেডিয়ামে নতুন ছাদ ও ফ্লাডলাইল লাগানোর কারণে দীর্ঘ সময় খেলা হয়নি ঢাকা স্টেডিয়ামে। সব মিলে প্রায় ৬ বছর ধরে প্রাণ নেই ঢাকা স্টেডিয়ামে। দীর্ঘ সময় খেলা না হওয়া, পাশাপাশি জাতীয় দলের সাফল্যহীনতায় আলো কমেছে ঢাকা স্টেডিয়ামে। নিজ জাতীয় দলের আন্তর্জাতিক সাফল্য যদিও কম, তারপরও বিশ্বমানের দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত খেলা হওয়ার কারণে হাজার হাজার দর্শক ঠিক শেরে বাংলায় ছুটে গেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে। SHARES ফুটবল বিষয়: অন্ধকারহামজা