বিএনপিতে জায়গা হবে না মৌসুমী পাখিদের !

প্রকাশিত: ১২:৪৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১, ২০২৫
বিএনপিতে জায়গা হবে না মৌসুমী পাখিদের বলে মন্তব্য করেছেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা।গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় খুলনা শহরে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শেষে এক সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
এড. শফিকুল আলম মনা, পতিত শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের সময়ে যারা বিএনপির পরিচয় দিতে লজ্জা পেতেন, যারা পুলিশ প্রশাসনের কাছে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিংবা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দল ছেড়েছিলেন—তারা এখন বিএনপির পরিচয় দিয়ে রাজপথে নামতে চাচ্ছেন। আন্দোলনের কঠিন সময়ে যখন হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাগারে, রাজপথে ও পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন, তখন ওরা ঘরে বসে এসি রুমে শান্তিতে ঘুমিয়েছেন। আজ সেই মৌসুমি পাখিরাই আবার বিএনপির পরিচয়ে রাজপথে নেমে নির্বাচনে অংশ নিতে চাইছেন।মনা আরও বলেন, যারা কঠিন সময়ে রাজপথে ছিলেন, পুলিশের গুলির মুখে থেকেও দলকে বাঁচিয়েছেন— তারাই প্রকৃত বিএনপি। ধানের শীষের প্রার্থীও হবেন তারাই। যারা আন্দোলনের সময় নিষ্ক্রিয় ছিলেন বা দলবিরোধী আচরণ করেছেন, তারা কোনোভাবেই দলের মনোনয়ন পাবেন না।
সমাবেশে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন বলেন, যারা ফেব্রুয়ারির সম্ভাব্য ভোট বানচালের জন্য কখনো ‘পিআর’, কখনো ‘হ্যাঁ-না ভোট’-এর নাটক করছে, তাদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে। জনগণকে বিভ্রান্ত করতে দেওয়া হবে না।তুহিন আরও বলেন, ১৯৭১ ও ২০২৪ সালের পরাজিত শক্তিরা আবারও একাট্টা হয়ে জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। একটি গোষ্ঠী ধর্মের নামে ভণ্ডামি করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, ভোট প্রদানের জন্য কোরআন শরিফে হাত রেখে শপথ করাচ্ছে। এটি ইসলাম ও গণতন্ত্র— দুইয়েরই অপমান। যারা ১৯৭১ সালে লাখ লাখ মানুষ হত্যা করেছে, মা-বোনদের সম্ভ্রম লুটে নিয়েছে—সেই পরাজিত শক্তিই আজ নতুন মুখোশ পরে নির্বাচনের নামে ষড়যন্ত্রে নেমেছে। তারা ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, যেন আবারও গণতন্ত্রকে হত্যা করা যায়। ধর্মের নামে কোরআন শপথ করিয়ে ভোট চাওয়া এক প্রকার রাজনৈতিক প্রতারণা। জনগণ এখন অনেক সচেতন, এসব নাটক আর সফল হবে না। ওদের মুখোশ খুলে দিতে হবে, কারণ ওরা দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের চিরশত্রু।
এর আগে, বিকেল ৪টায় খুলনা জিয়াহল চত্বর (শিববাড়ি মোড়) থেকে ধানের শীষের প্রচার মিছিল ও বিএনপির ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শুরু হয়। মিছিলটি নগরীর কেডিএ অ্যাভিনিউ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে র‌্যায়েল চত্বরে পথসভায় পরিণত হয়। এতে মহানগর ও সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।