আফগান মেয়েদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা আদৌ খুলবে? প্রকাশিত: ১:৪১ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০২৪ ৪৫০ দিনেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে, তবুও আফগানিস্তানে মেয়েদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পুনরায় খোলার কোনও খবর নেই। কিছু মেয়ে শিক্ষার্থী বলছেন, তারা তাদের পড়াশোনায় প্রায় ১৫ মাস পিছিয়ে রয়েছেন। আর তাই চলতি বছরই মেয়েদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পুনরায় চালু করতে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের কাছে অনুরোধ করেছেন তারা। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আফগান সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ। খাদিজা নামের এক ছাত্রী বলছেন, ‘মেয়েরা শিক্ষিত হওয়া মানে পুরো পরিবারই শিক্ষিত। মেয়েরা যদি অশিক্ষিত ও অজ্ঞ হয়, তার মানে পুরো পরিবারই অশিক্ষিত ও অজ্ঞ।’ নারো নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের অনুরোধ, দয়া করে মেয়েদের জন্য স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা খুলে দিন, যাতে মেয়েরা পড়াশোনা করতে পারে এবং আমরা একটি শক্তিশালী ও উন্নত সমাজ পেতে পারি।’ টোলো নিউজ বলছে, কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকও মনে করেন, মেয়েদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্রমাগত বন্ধের ফলে দেশ আরও পিছিয়ে পড়বে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জাকিউল্লাহ মোহাম্মদী বলেন, ‘আমরা যদি ক্ষমতাসীন সরকার হিসেবে এবং সমাজে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ হিসেবে শাসন করতে চাই, তাহলে আমাদের সকল নাগরিককে তাদের মৌলিক অধিকার দিতে হবে।’ সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইও নরওয়েজিয়ান চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্সের সাথে এক বৈঠকে মেয়েদের জন্য স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পুনরায় চালু করাকে প্রয়োজনীয়তা হিসাবে বিবেচনা করেন। অবশ্য আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার মেয়েদের জন্য স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পুনরায় খোলার বিষয়ে নতুন করে কিছু বলেনি; যদিও এর আগে বলা হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার মেয়েদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করেনি। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের আগস্টের মাঝামাঝিতে আশরাফ গনিকে হটিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে তালেবান। সেসময় প্রথমে মেয়েদের হাইস্কুলে যাওয়া বন্ধ করে তারা। এরপর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বন্ধ করা হয় নারীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: আফগানউচ্চশিক্ষাতালেবান