পুরস্কার নেওয়ার পরই শেষ অরন্য চিরান ‘বিতর্ক’

প্রকাশিত: ১২:৩৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৪, ২০২৪

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’ দেওয়ার জন্য গত ১৫ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সারা দেশের ১০ জনের সঙ্গে ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী ধোবাউড়ার প্রত্যন্ত দিঘলবাগ গ্রামের অরন্য চিরানের নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে সৃষ্টি হয় নানা বিতর্কের। পদক তালিকা থেকে তার নাম বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনসহ নানা আন্দোলনে সোচ্চার হয় একাধিক সংগঠন। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে অরন্য চিরান স্বাধীনতা পদক গ্রহণ করার পর থেমে গেছে আন্দোলন, নেই আর কোনও বিতর্ক। এখন প্রতিদিনই বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে দেওয়া হচ্ছে সংবর্ধনা।

পদক পাওয়া নিয়ে বিরোধীতা এবং আন্দোলন সম্পর্কে অরন্য চিরান বলেন, ‘কাজের স্বীকৃতি হিসেবে রাষ্ট্র আমাকে স্বাধীনতা পদক দেওয়ায় আমি খুবই খুশি। ত্রিশ বছর ধরে আমি আদিবাসীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে আসছি। মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। তাদের নানা সমস্যায় পাশে থেকেছি। তবে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পদক পাবো, এটা ভাবনাতেই ছিল না।’

তিনি জানান, ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে আমার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে যারা হেরেছে তারা আমার প্রতিপক্ষ হয়ে বিরোধিতা করেছে এবং আন্দোলনে ইন্ধন দিয়েছে। এছাড়া আদিবাসীদের আরেকটি পক্ষ দুর্নীতি এবং নানা অপকর্মের কারণে কেন্দ্রীয় ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে যাদের সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছিল, তারা আমার সঙ্গে শত্রুতাবশত আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উল্টাপাল্টা লেখালেখি করে। তবে সব কিছুর অবসান ঘটেছে, পদক পাওয়ার পর সব আন্দোলন থেমে গেছে।

স্বাধীনতা পদক পাওয়া অরন্য চিরান ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বলেন, ‘পথশিশুদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আছে। তাদের জন্য আবাসনসহ স্বাস্থ্য ও শিক্ষা উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এছাড়া যারা সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়ার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহে আসেন তাদের জন্য একটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলার ইচ্ছা আছে। এই আশ্রয়কেন্দ্রে থেকে অসহায় মানুষ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কিংবা প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়ে আবার বাড়িতে ফিরে যাবে।’