মাংস ও মসলার বাজার চড়া, আরও বাড়ার আগেই কিনছেন ক্রেতারা প্রকাশিত: ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৬, ২০২৪ রমজানের দুই সপ্তাহ পার হতে না হতেই বাড়তে শুরু করে মাংসের দাম। ঈদের আগে আগে মাংসের বাজার আরও উর্ধ্বমুখী। মাংসের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে তার কোনোটারই কোনও প্রভাব পড়েনি বাজারে। রোজা শুরুর আগেও যে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ২১৫ টাকা বা তার আশপাশে, আজ তা আড়াইশ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রমজানের আগে যে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল, আজ তা ৭৮০ টাকা। দাম বাড়লেও ঈদের জন্য এখনই মাংস কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা। তাদের শঙ্কা, ঈদের আগে দাম আরও বেড়ে যেতে পারে। বিক্রেতারাও বলছেন, চাহিদার ওপর মাংসের দাম বাড়া-কমা নির্ভর করছে। ঈদের আগে কেবল মাংসের দাম বেড়েছে এমনটা নয়। বেড়েছে আলু, আদা, রসুন, এলাচ, কাজুবাদাম, জয়ত্রীর মতো পণ্যের দামও। রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বরের কাঁচাবাজার সরেজমিন দেখা যায় ঈদের আগে মানুষের কেনাকাটার এই চিত্র। সরকার গরুর মাংসের কেজি ৬৬৪ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগির মাংস ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল। কিন্তু এই নির্দেশের কোনও তোয়াক্কা না করেই বাজারে নিয়মিতই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাংস। দেশি মুরগি, কক ও লেয়ার মুরগির মাংসও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। এতে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ আরও বেড়েছে। তবু চাপ উপেক্ষা করেই আসন্ন ঈদের কেনাকাটা করছেন তারা। কারণ শঙ্কা আছে, দুই-একদিনে এই দাম না আরও বেড়ে যাবে। রমজানের আগে শেষ শুক্রবার, গত ৮ মার্চ ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছিল ২১৫ থেকে ২২৫ টাকা কেজিতে, কক মুরগি ৩১৫-৩২৫ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০/ ৬৮০ টাকায়। ওজন অনুযায়ী ব্রয়লার মুরগি ২৩৫ থেকে ২৫০ টাকা, কক মুরগি ৩৩০-৩৪০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩৩৫ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার দেড় কেজির বেশি ওজনের মুরগি গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২০২ টাকা কেজি দরে, যা আজ বিক্রি হয় ২৩৫ টাকায়। গরুর মাংস ৭৬০-৭৮০ টাকা, খাসির মাংস ১১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মুরগির লাল ডিম ১২০ টাকা এবং সাদা ডিম ১১০ টাকা প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে। SHARES জাতীয় বিষয়: ক্রেতাবাজার