ডিজিটাল ব্যাংক নিয়ে কথোপকথন প্রকাশিত: ২:৪৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২৪ ‘ডিজিটাল ব্যাংক’ নিয়ে বর্তমানে আমাদের দেশে সবার মধ্যেই বেশ এক ধরনের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ৫০০টির বেশি কোম্পানি থেকে ৫২টি আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। সেখান থেকে প্রাথমিকভাবে দুটি ডিজিটাল ব্যাংককে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এরইমধ্যে ‘ডিজিটাল ব্যাংকিং ইউনিট’ নামে একটি নতুন ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেছে। পাকিস্তানে ইতোমধ্যে গত বছরের জানুয়ারিতে পাঁচটি ডিজিটাল ব্যাংককে যাত্রা শুরু করার অনুমোদন দিলেও বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করার কার্যক্রম কেবলমাত্র শুরু হয়েছে। তাতে অবশ্য কিছু যায় আসে না, কারণ আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে পাকিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে বেশ খানিকটা পিছিয়ে আছে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তির হার পাকিস্তানে যেখানে ২০ শতাংশের কিছু উপরে, সেখানে বাংলাদেশে এই হার ৫২ শতাংশের উপরে। মজার ব্যাপার হলো ভারতে দৈনিক ৮০ মিলিয়ন ডিজিটাল লেনদেন হচ্ছে এবং তাদের ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার মডেল আগামী পাঁচ বছরে ৫০টি দেশে অনুসৃত হবে। তারপরেও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে তারা ইরানের চেয়ে পিছিয়ে আছে। ডিজিটাল ব্যাংকিং এবং অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মধ্যে বিশাল পার্থক্য থাকলেও প্রধান পার্থক্য হলো— ডিজিটাল ব্যাংকিং বলতে বিস্তৃত প্ল্যাটফর্ম সমাবেশকারীকে বলা যায় যেখানে নানা ধরনের সেবা কম সময়ের মধ্যে প্রদান করা যায়। অন্যদিকে অনলাইন ব্যাংকিং বলতে সাধারণত একটি ব্যাংকের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী ব্যবহারকে বোঝায়, যেখানে লেনদেন সম্পন্ন, ব্যালেন্স চেক করা, ইউটিলিটি বিল বা ঋণ পরিশোধের মতো কোনো নির্দিষ্ট কাজ করা হয়ে থাকে। অ্যাপের মাধ্যমে সিটি ব্যাংকের ‘সিটি টাচ’, ব্র্যাক ব্যাংকের ‘আস্থা’ এবং ইস্টার্ন ব্যাংকের ‘স্কাই ব্যাংকিং’ যে সেবা দান করছে তাও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের উদাহরণ। মোটা দাগে বলা যায়, অনলাইন ব্যাংকিং ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের একটি অংশ মাত্র। মোবাইল ব্যাংকিং, ডিজিটাল ওয়ালেট, এসএমএস বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ব্যাংকিং, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, চ্যাটবট, বায়োমেট্রিক্স এবং অন্যান্য বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হয়ে থাকে, যার লক্ষ্য গ্রাহকদের নতুন ও দ্রুত সেবা পাওয়ার অভিজ্ঞতা বাড়ান। SHARES তথ্য প্রযুক্তি বিষয়: বাংলাদেশব্যাংকলাইসেন্স