টাকা উড়ছে রেস্তোরাঁয়, নজর নেই এনবিআরের

প্রকাশিত: ২:১৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০২৪

রেস্তোরাঁ ব্যবসা এখন জমজমাট। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ছোটো-বড় সব রাস্তার মোড়ে মোড়ে, এমনকি চলন বিলের প্রত্যন্ত গ্রামেও দেদার চলছে রেস্তোরাঁর ব্যবসা। ভোজনরসিকরাও ভিড় করছেন রেস্তোরাঁগুলোয়। প্রতিদিন লাখ টাকার বেশি লেনদেন হলেও এ খাত থেকে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব পাচ্ছে না সরকার।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, হোটেল-রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট ফাঁকি বন্ধে এনবিআর কঠোর হলে এ খাত থেকে অন্তত তিনগুণ বেশি ভ্যাট পাওয়া সম্ভব। কারণ পরিবার-স্বজন-বন্ধুদের নিয়ে মানুষ এখন নিয়মিত নামিদামি বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় গিয়ে দেদার খরচ করছে। অনেক রেস্তোরাঁ আছে যেখানে সামান্য কিছু খেলেই এক থেকে দুই হাজার টাকা বিল দিতে হয়। আবার কোনও কোনও নামিদামি রেস্তোরাঁয় একজনের এক বেলা খাবারের বিলই দিতে হয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বা তারও বেশি, পরিবারের কয়েকজনকে নিয়ে খেলে খরচ আরও বেশি।মানুষের খাদ্যাভ্যাস ও রুচির পরিবর্তনের ফলে জেলা ও উপজেলা শহরেও বাড়ছে নতুন নতুন রেস্তোরাঁ। এ খাতে এখন বিনিয়োগ করছেন তরুণ উদ্যোক্তারাও। উন্নত বিশ্বের আদলে অনেক চেইন রেস্তোরাঁও এখন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।

ঢাকা এখন রীতিমতো রেস্তোরাঁর নগরীতে পরিণত হয়েছে। ঢাকার এমন কোনও অলিগলি নেই যেখানে একাধিক রেস্তোরাঁ পাওয়া যাবে না। আবাসিক ভবনগুলোতেও গড়ে উঠেছে ছোট-বড় দেশি-বিদেশি হোটেল-রেস্তোরাঁ। এরই মধ্যে সরকারিভাবে রেস্তোরাঁকে শিল্পের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু আশ্চর্যজনক হলো, এসব হোটেল-রেস্টুরেন্ট ভোক্তাদের পকেট থেকে ঠিকই টাকা কাটছে। কিন্তু এ খাত থেকে কাঙ্ক্ষিত হারে ভ্যাট পাচ্ছে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অভিযোগ আছে, ছোট-বড় সব হোটেল-রেস্তোরাঁ একযোগে ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছে।