দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে না: রিজভী

প্রকাশিত: ৭:৩১ অপরাহ্ণ, জুন ২৪, ২০২৪

দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ দুর্নীতিবাজরাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রেখেছেন। এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক সুস্থতা কামনায় আজ সোমবার জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত দোয়া মাহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রিজভী এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদিকা সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এখন প্রশাসন ক্যাডার, পুলিশ ক্যাডার—এমন একটি লাভজনক চাকরি হয়েছে যে, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার পর্যন্ত এখানে চাকরি করতে চান। কারণ এখানে মানুষ সেবা চেয়ে অবৈধভাবে টাকা রোজগার বড়। একজন এসপির যদি ৬০ কোটি টাকা হয়, একজন ডিআইজির যদি ১০০ কোটি টাকা হয়, একজন এনবিআর সদস্যের যদি গ্রামে ডুপ্লেক্স বাড়ি, শহরে চারতলা বিল্ডিং, ছেলের ১৫ লাখ টাকার ছাগল কোরবানি দেয়। এই যে অনৈতিক প্রবণতা সৃষ্টি করা হয়েছে, তার প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রধানমন্ত্রী। দেখবেন বেনজীরের কিছুই হবে না। দুদককে তার মামলা প্রত্যাহার করতে বলেছেন। আজিজদের কিছুই হবে না। দুর্নীতিবাজদের কিছুই হবে না। এরাই তো প্রধানমন্ত্রীকে টিকেয়ে রেখেছেন। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনকে এরাই তো রক্তাক্ত করেছেন। শেখ হাসিনা একটু দেখালেন আমি আমার নিজের লোককেও ছাড়ি না।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘আক্রোশ-প্রতিহিংসা থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। দেশকে নেতৃত্বশূন্য করার মাস্টারপ্ল্যান করছে সরকার। সুচিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে খালেদা জিয়ার ওপর অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে।’

ভারতের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় হওয়া চুক্তির সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘এবারের ভারত সফরে দেশের সার্বভৌমত্ব বিক্রি করে দেওয়ার চুক্তি হয়েছে। নিজের স্বার্থ ছাড়া একদানা চালও দেবে না ভারত।’

রিজভী বলেন, ‘বেনজীর নাকি শেখ হাসিনাকে আপা বলতেন, আপার জন্য গুমের পর গুম চালিয়ে গেছেন। তবে এত অপকর্মের পরও বেনজীরদের কিছু হবে না। এখন যা হচ্ছে আইওয়াশ। সম্প্রতি পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া বিবৃতি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ, এটি সংবাদপত্রের প্রতি হুমকি। শেখ হাসিনার অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধতা দিয়েছে পুলিশ।’