যুক্তরাজ্য নির্বাচন: জয়-পরাজয়ের ‘ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট’ নিয়ম কী?

প্রকাশিত: ৩:৪১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২, ২০২৪

পার্লামেন্টে নতুন জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে যুক্তরাজ্যের মানুষ ভোট দেবে ৪ জুলাই; নিয়ম অনুযায়ী যে প্রার্থী বেশি ভোট পাবেন, তিনিই হবেন তার আসনের আইনপ্রণেতা।

বিশ্বে দেশভেদে নির্বাচনের পদ্ধতি একেক রকম। যুক্তরাজ্যের নির্বাচন হয়ে থাকে ‘ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট’ পদ্ধতিতে।

বিবিসি লিখেছে, এ পদ্ধতিতে প্রত্যেক আসনে সর্বোচ্চ ভোট যিনি পাবেন, তিনিই হবেন যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের এমপি। ভোটে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দল বা প্রার্থীর জন্য কিছুই থাকে না অর্থাৎ তারা ওই আসনে পরাজিত হয়। ইংল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড জুড়ে থাকা ৬৫০টি নির্বাচনি আসনে এ পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হয়।

‘ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট’ পদ্ধতি নিয়ে একাংশের সমালোচকদের যুক্তি, হাউস অব কমন্স গঠনে এই প্রক্রিয়ায় লাখ লাখ ভোটের প্রতিফলন হয় না। তবে এর পক্ষে যারা কথা বলেন, তাদের ভাষ্য, ‘স্থিতিশীল সরকার’ গঠনের জন্য প্রক্রিয়াটি খুবই কার্যকর।

‘ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট’ আসলে কী

যুক্তরাজ্যের ৬৫০টি সাংবিধানিক আসনের প্রত্যেকটিতে একজন করে এমপি নির্বাচিত হন, যিনি তার এলাকার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন ওয়েস্টমিনস্টারে।

ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিতে ‘ক্রস চিহ্ন’ এঁকে দেন ব্যালট পেপারে। যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ভোট পান, তিনিই জয়ী হন।

জয় পেতে প্রদত্ত ভোটের ‘নির্দিষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা’ অর্জনের দরকার নেই। অন্য প্রার্থীর চেয়ে এগিয়ে থাকা প্রার্থীকেই জয়ী ঘোষণা করা হয়। এই পদ্ধতিকে বলা হয়ে থাকে ‘ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট’।

ভোটে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা প্রার্থীর বিশেষত্ব কিছু নেই। তিনি এক ভোটে হারলেও তাকে পরাজিত বলেই ধরা হয়।

একইভাবে যে দলের সবচেয়ে বেশি প্রার্থী জয় পান, সে দলকেই নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। অন্য দলগুলোর চেয়ে সেই দলের বেশি এমপি বা হাউজ অব কমন্সের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে তারা সরকার গঠন করে।

বাংলাদেশ, ভারতসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশের পার্লামেন্ট নির্বাচন ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট পদ্ধতিতে হয়।

ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট পদ্ধতিতে জয়-পরাজয় নির্ধারণের পর কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, তাও ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট পদ্ধতিতে নির্ধারণ হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রেও যুক্তরাজ্যের রয়েছে নিজস্ব আইন।