কাঁচা মরিচের ঝাঁজে নিত্যপণ্যের বাজারে দিশেহারা ক্রেতারা

প্রকাশিত: ১২:০৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০২৪

টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার প্রকোপ ছাপিয়ে আবারও জমে উঠেছে কারওয়ান বাজার। সবুজ শাক সবজির আমদানিও হয়েছে ভালোই। বৃষ্টি জলাবদ্ধতায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে না পারা ক্রেতারাও এসেছেন বাজারে।

বাজারে আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও বেড়েছে সবজির দাম। প্রতিটি কাচা পণ্যের দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া সাধ্যের বাইরে কাঁচা মরিচের দাম। ৩ কেজির চালের মূল্যেও মিলছে ১ কেজি মরিচ। দেশি পেঁয়াজও মিলছে না ১০০ টাকার নিচে।

সরেজমিনে রোববার (১৪ জুলাই) সকালে কারওয়ান বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, যা গতকালও ছিল ৪০ টাকা। আগের তুলনায় দাম বেড়েছে করলা, ঢেঁড়স, বেগুনের। ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে লম্বা করলা। যদিও ছোট করলা মিলছে ৮০ টাকায়। ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে, টমেটো ৮০ টাকা। আলুর দাম ১০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে বাজারে।

এদিকে পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের আমদানি কমায় বেড়েছে দাম। ২০০ টাকা পাইকারি মিললেও খুচরা বাজারে ২৪০ টাকা কেজি। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতা।

ব্যাংকার শামিম হোসেন বলেন, সকালে এসে বাজারে টাটকা শাক সবজি পেয়েছি। কিন্তু গতকালকের থেকে আজ ১০-২০ টাকা দাম বেশি। এভাবে তো কেনা যায় না। দেখেন আমাদের বেতনের সাথে তাল মেলাতে গেলে কীভাবে হবে। এসবের কারণেই মানুষ অসৎ পথে উপার্জন করছে।

জান্নাতুল মাওয়া নামের এক নারী বলেন, খুব কষ্ট হচ্ছে সংসার চালাতে। আগে ৫০০ টাকায় দুই-তিনটা আইটেম কেনা যেত এখন একটা কিনলে আরেকটা কেনা যায় না। আসলে এভাবে কোনো বাজার ব্যবস্থা চলতে পারে না। নিম্ন আয়ের মানুষ খুব অসুবিধায় আছে।

এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টি ও আন্দোলনের কারণে বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। ফলে এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। শহরের জলাবদ্ধতায় পচে গেছে অনেক সবজি। একি সাথে বৃষ্টির কারণে আমদানি কম হয়েছে গত কয়েকদিনে। এর প্রভাব সরাসরি পড়েছে ক্রেতার উপড়ে।

কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী মুজাম্মেল হক বলেন, গতকাল আমদানি কম ছিল। ৪০০ টাকা কেজি ছিল মরিচের। আজ তা পাইকারি ২০০ টাকা। বৃষ্টির কারনে অনেক মরিচ পচে গেছে। আর এর প্রভাব পড়েছে বাজারে।

আশরাফুল ইসলাম নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, দেখেন গত কয়েকদিন কি লসটা ব্যবসায়ীরা খেয়েছে। এটার প্রভাব বাজারে পড়া স্বাভাবিক। আমাদেরও কিছু করার নাই। প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে ১০-২০ টাকা। আমরাও বুঝি। তবে ব্যবসা তো করতে হবে। আমদানি চেইন ঠিক করা গেলে দাম কমবে। একটা সবজি কিনতে ১০ টাকা প্রয়োজন হলেও বাজারে আসতে তা হয়ে যায় ৫০ টাকা। রাস্তার খরচ কমাতে না পারলে বাজারে দাম কমবে না।