সোমালিয়ায় জেল ভেঙে পালানোর চেষ্টাকালে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৮

প্রকাশিত: ৫:৩৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০২৪

সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুতে একটি কারাগার ভেঙে পালানোর চেষ্টাকালে কমপক্ষে ৮ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জন কারারক্ষী ছিল, বাকি ৫ জন মৃত্যুদণ্ড পাওয়া কয়েদি ছিল। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ১৮ জন কয়েদি ও ৩ কারারক্ষী। তবে শেষপর্যন্ত কোনো কয়েদি পালাতে পারেনি। খবর আল–জাজিরার।

সোমলিয়া সরকারের নিরাপত্তা সূত্র জানায়, যে কয়েদিরা পালানোর চেষ্টা করেছিল তারা আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী আল-শাবাবের সদস্য ছিল। কারাগারের নিরাপত্তাব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে গোপনে অস্ত্র সরবরাহের পর এই কয়েদিরা পালানোর পরিকল্পনা করেছিল।

দেশটির সেনাবাহিনীর কারারক্ষীর মুখপাত্র কর্নেল আব্দিকানি খালাফ জানান, শনিবার শহরের প্রধান কারাগারে সশস্ত্র কয়েদিরা পালানো চেষ্টা করলে কারাগারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনা সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।

আব্দিকানি খালাফ বলেন, ‘কয়েদিরা কারাগারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো কয়েদি পালাতে পারেনি।’

সোমালিয়ার জাতীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, নিরাপত্তাবাহিনী একটি অপারেশন শেষ করেছে, যেখানে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সন্ত্রাসীরা কারারক্ষীদের ওপর হামলা করেছিল।

কারাগারটির আশপাশের স্থানীয় বাসিন্দারা গ্রেনেড বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী আবদিরহমান আলী এএফপিকে বলেন, ‘কারাগারের ভেতরে একটি বিস্ফোরণ ঘটে এবং এর পর ব্যাপক গুলিবিনিময় হয়।’

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী শুসেব আহমেদ বলেন, ‘আমার ভাই কারাগারের নিরাপত্তারক্ষীদের একজন সদস্য। আমি ভাইকে ফোন করেছিলাম তিনি বললেন যে, আল-শাবাবের বেশ কয়েকজন বন্দী গোপনে অস্ত্র এবং গ্রেনেড সংগ্রহ করেছে এবং পালানোর চেষ্টা করেছে।’

জঙ্গি গোষ্ঠী আল-শাবাব ১৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে সোমালিয়ার সরকার পতনের জন্য চেষ্টা করছে। রাজধানী মোগাদিশুসহ দেশের বিভিন্ন অংশে এরা বেশ কয়েকবার বোমা হামলা ও অন্যান্য হামলা চালিয়েছে।